রাফা সীমান্তের দখল নিয়েছে ইসরায়েল, বন্ধ হতে পারে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ

রাফা সীমান্তের ফিলিস্তিনি অংশের দখল নিয়েছে ইসরায়েলি ট্যাংক। ছবি: রয়টার্স
রাফা সীমান্তের ফিলিস্তিনি অংশের দখল নিয়েছে ইসরায়েলি ট্যাংক। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা রাফা ক্রসিংয়ের ফিলিস্তিনি অংশের দখল নিয়েছে। মিশর-গাজা সীমান্তে অবস্থিত এই শহরটি স্থলপথে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানান, দক্ষিণ গাজার সীমান্তবর্তী রাফা ক্রসিং দখল করেছে ইসরায়েলি ট্যাংক। এরপর থেকে এই পথে সব ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়েছে।

রাফা সীমান্তের ফিলিস্তিন অংশের দখল নিয়েছে ইসরায়েল। ছবি: রয়টার্স
রাফা সীমান্তের ফিলিস্তিন অংশের দখল নিয়েছে ইসরায়েল। ছবি: রয়টার্স

এতদিন পর্যন্ত এটাই গাজার একমাত্র সীমান্ত ছিল, যা ইসরায়েলের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে নেই। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের অতর্কিত হামলার পর গাজার বাকি সব প্রবেশপথ বন্ধ করেছে ইসরায়েল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই সীমিত আকারে গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছানোর একমাত্র স্থলপথ হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব পায় রাফার সীমান্ত। এ ছাড়াও, সীমিত সংখ্যক ফিলিস্তিনি (মূলত গুরুতর অসুস্থ মানুষ) ও বিদেশি নাগরিকও এই সীমান্ত পথে গাজা ছেড়ে বের হওয়ার অনুমতি পেয়েছেন। 

গাজা অংশে রাফা ক্রসিংয়ের সকল কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ এখন ইসরায়েলের হাতে। আজ ইসরায়েলের এক সামরিক কর্মকর্তা সিএনএনকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কর্মকর্তা জানান, ক্রসিংয়ে এ মুহূর্তে সামরিক অভিযান চলছে। তবে তিনি জানাননি সামরিক বাহিনী কতক্ষণ এই ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখবে। রাফায় ভয়াবহ বিমানহামলা ও শহরের কিছু অংশ থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশের পরই এলো ইসরায়েলের এই উদ্যোগ।

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণ ও শরণার্থী সংস্থাকে (ইউএনআরডব্লিউএ) আশংকা প্রকাশ করেছে, রাফা সীমান্ত দখলে গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছানো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিশেষত, খাদ্য ও জ্বালানির সরবরাহে বিঘ্ন দেখা দিতে পারে। সিএনএন ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের কাছে গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। তবে এখনো তারা জবাব দেননি।

রাফা সীমান্তের ফিলিস্তিন অংশের দখল নিয়েছে ইসরায়েল। ছবি: রয়টার্স
রাফা সীমান্তের ফিলিস্তিন অংশের দখল নিয়েছে ইসরায়েল। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলি পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট এক সূত্র সিএনএনকে জানান, রাফার চলমান অভিযানটি 'খুবই সীমিত' আকারে পরিচালনা করা হবে। এর উদ্দেশ্য হামাসকে চাপের মুখে রাখা, যাতে তারা ইসরায়েলের শর্ত মেনে জিম্মি মুক্তি ও যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মতি দেয়। সূত্র আরও জানান, রাফায় চলমান অভিযানটি ইসরায়েলের পূর্বপরিকল্পিত বড় আকারের 'স্থল অভিযান' নয়।

রাফার হাজারো বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ইসরায়েলি নিরবচ্ছিন্ন বিমানহামলা থেকে পালানোর পথ খুঁজে পাচ্ছেন না তারা। গত সাত মাসে ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি রাফায় এসে আশ্রয় নিয়েছেন। উত্তর গাজায় তাদের আগের বাসস্থানের বেশিরভাগ অংশই ধ্বংস হয়ে গেছে।

রাফায় পূর্ণ মাত্রার সামরিক অভিযান শুরু হলে তাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।

Comments

The Daily Star  | English
consensus commission bicameral parliament proposal

Consensus commission: Talks stall over women’s seats, upper house

The National Consensus Commission proposed establishing an upper house comprising elected representatives from each district and city corporation, and suggested abolishing the current system of reserved seats for women in parliament.

5h ago