ইরান এখন রাশিয়ার ‘শীর্ষ সামরিক পৃষ্ঠপোষক’, দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে সামরিক অংশীদারিত্বের পূর্ণাঙ্গ সম্পর্ক আছে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ইরানকে নজিরবিহীন সামরিক সহায়তা দিচ্ছে রাশিয়া।
আজ শনিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে জন কিরবি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন তথ্য জানতে পেরেছে যে, রাশিয়া ও ইরান যৌথভাবে প্রাণঘাতী ড্রোন উৎপাদনের কথা ভাবছে।
অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহারে রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের জন্য ৩ ইরানি ও তাদের একটি ব্যবসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
বিবিসি বলছে, সম্প্রতি রাশিয়া ও ইরানের সামরিক সহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। কারণ ইউক্রেন অভিযোগ তুলেছিলে, রাশিয়া হামলায় ইরানের ড্রোন ব্যবহার করেছে।
তবে, প্রাথমিকভাবে রাশিয়ায় কোনো ড্রোন পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করে ইরান। অবশ্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি পরে স্বীকার করে যে, ইউক্রেনে আক্রমণের আগে তারা রাশিয়াকে কিছু ড্রোন সরবরাহ করেছিল।
কিরবি বলেন, ইরান ও রাশিয়ার অংশীদারিত্বে ড্রোন উৎপাদন ইউক্রেন ও ইরানের প্রতিবেশী দেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য ক্ষতিকর হবে।
'অস্ত্র উন্নয়ন, প্রশিক্ষণে ইরান ও রাশিয়া একে অপরকে সহযোগিতা করতে চায়' উল্লেখ করে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র আশঙ্কা করছে- ইরানকে হেলিকপ্টার ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ 'উন্নত সামরিক উপাদান সরবরাহ করতে চায়' রাশিয়া।
তিনি বলেন, 'ইরান এখন রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক পৃষ্ঠপোষকে পরিণত হয়েছে। ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা করতে ইরানি ড্রোন ব্যবহার করছে রাশিয়া। ফলে, ইউক্রেনের লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎ, পানি ও গুরুত্বপূর্ণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ইরানের এমন কর্মকাণ্ডে ইউক্রেনের অনেক মানুষকে প্রাণ হারাতে হচ্ছে।'
কিরবির এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেন, ইরান রাশিয়ার অন্যতম প্রধান সামরিক সমর্থকে পরিণত হয়েছে। তাদের মধ্যকার সম্পর্ক বৈশ্বিক নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত জুলাইয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
জেমস ক্লেভারলি বলেন, 'তেহরানের এমন সহযোগিতার বিনিময়ে ইরান সরকারকে সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে রাশিয়া। যা মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের সহযোগী ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে।'
তিনি আরও বলেন, 'যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একমত যে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রুশ সামরিক বাহিনীর প্রতি ইরানের সমর্থন বাড়বে। কারণ রাশিয়া শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ আরও অস্ত্র বাড়ানোর চেষ্টা করছে।'
Comments