ভেনিসে বাস খাদে পড়ে  শিশু ও পর্যটকসহ ২১ যাত্রী নিহত

ভেনিসের ফায়ার ব্রিগেডের কমান্ডার মাউরো লুয়োনগো ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাসটি ডিগবাজি খেয়ে খাদে পড়ে যায়। প্রায় ১০ মিটার উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ায় এর ব্যাপক ক্ষতি হয়।’
ভেনিসে বাস দুর্ঘটনা। ছবি: এএফপি
ভেনিসে বাস দুর্ঘটনা। ছবি: এএফপি

ইতালির ভেনিসে সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে দুই শিশু ও বিদেশী পর্যটকসহ ২১ জন নিহত হন।

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের পাশাপাশি অনেকেই আহত হয়েছেন।

ভেনিসের ফায়ার ব্রিগেডের কমান্ডার মাউরো লুয়োনগো ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, 'বাসটি ডিগবাজি খেয়ে খাদে পড়ে যায়। প্রায় ১০ মিটার উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ায় এর ব্যাপক ক্ষতি হয়।'

ভেনিসের একটি ঐতিহাসিক পর্যটনস্থল থেকে একটি ক্যাম্পিং সাইটে ফেরার সময় মিথেন গ্যাস চালিত এই বাস দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টা) এই ঘটনা ঘটে।

ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা জানান, খাদে পড়ার পর বাসে আগুন ধরে যায়।

ভেনিস শহরের মেয়র লুইজি ব্রুনেরো স্থানীয় গণমাধ্যমকে নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে বলেছেন, 'বাসটি উড়াল সেতু থেকে মেস্ত্রে রেললাইনের কাছে ছিটকে পড়ে। উড়াল সেতুটি মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে ভেনিসকে সংযুক্ত করেছে।'

তিনি বলেছেন, 'এটি একটি ভয়াবহ দৃশ্য, আমি বাকরুদ্ধ।' এই ঘটনায় শহরে শোক ঘোষণা করেছেন তিনি।

সিটি হলের এক কর্মকর্তা জানান, মৃতদের মধ্যে আছেন ইউক্রেন থেকে আসা পর্যটক। ইতালির সংবাদমাধ্যম আনসা জানায়, জার্মানি ও ফ্রান্সের পর্যটকও রয়েছেন নিহতের তালিকায়। 

নগর প্রশাসনের এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, আহতদের মধ্যে তিন ইউক্রেনীয় ও এক জন করে ক্রোয়েশীয়, জার্মান ও ফরাসি নাগরিক রয়েছেন।

জরুরি সেবাদাতারা রাতভর কাজ করে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া বাস থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছেন। বুধবার সকালে অবশেষে বাসটিকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

স্কাই ইতালিয়া জানিয়েছে, বাসটি খাদে পড়ার পর আগুন ধরে যায়। এখন পর্যন্ত ২১টি মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

লুয়োনগো জানান, দুর্ঘটনার কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে সেতু থেকে পড়ে যেয়ে বাসের ইলেকট্রিক ব্যাটারিতে আগুন লেগেছে বলে সন্দেহ করছেন তিনি।

দেশটির পরিবহণ মন্ত্রী মাত্তিও সালভিনি বলেছেন, চালকের আকস্মিক অসুস্থতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

তদন্তকারীরা এই অঞ্চলের নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজছেন।

এ ঘটনায় ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

এছাড়াও, এ ঘটনায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এবং ইইউ প্রধান উরসুলা ফন ডার লিয়েন শোক প্রকাশ করেছেন।

Comments