যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ‘স্বাধীনতা’র ডাক জার্মানির পরবর্তী চ্যান্সেলরের

ফ্রিডরিখ মের্জ। ছবি: রয়টার্স

নির্বাচনে জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব থেকে ইউরোপকে মুক্ত করার ডাক দিয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর-ইলেক্ট ফ্রিডরিখ মের্জ। জার্মানির নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার হস্তক্ষেপেরও সমালোচনা করেছেন তিনি।

আজ সোমবার আলজাজিরা ও সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

নির্বাচনে প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণায় জানানো হয়, মের্জের মধ্য-ডানপন্থী দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিউ) এবং তার শরিক দল ২৮ দশমিক ছয় শতাংশ ভোট পেয়েছে—যা এই নির্বাচনে সর্বোচ্চ। এখন তাদের একাধিক দলকে সঙ্গে নিয়ে জোট সরকার গঠন করতে হবে।

নির্বাচনের ফলাফল একরকম নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর রোববার এক টেলিভিশন আলোচনায় মের্জ বলেন, 'আমার সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হবে যত দ্রুত সম্ভব ইউরোপকে শক্তিশালী করা, যাতে ধাপে ধাপে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন করতে পারি।'

৬৯ বছর বয়সী মের্জ আরও বলেন, 'আমি কখনো ভাবিনি, আমাকে টেলিভিশনে এমন কিছু বলতে হবে। কিন্তু গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের পর এটা বলতেই হয়, মার্কিনিরা—অন্তত তাদের বর্তমান প্রশাসন যে ইউরোপের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব একটা চিন্তিত না, তা একেবারে স্পষ্ট।'

নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপেরও সমালোচনা করেন তিনি।

'ওয়াশিংটনের হস্তক্ষেপ কোনো অংশেই মস্কোর হস্তক্ষেপের চেয়ে কম নাটকীয়, আগ্রাসী বা অবমাননাকর না। আমরা দুই দিক থেকেই ব্যাপক চাপের মুখে আছি। যে কারণে আমার প্রধান অগ্রাধিকার হবে ইউরোপকে ঐক্যবদ্ধ করা,' বলেন তিনি।

নির্বাচনের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইলন মাস্ক জার্মানির অতি ডানপন্থি দল এবং 'নব্য-নাৎসি' হিসেবে সমালোচিত অল্টারনেট ফর জার্মানিকে (এএফডি) সমর্থন দেন। মাস্কের এই সমর্থন ভালোভাবে নেয়নি জার্মানির কোনো রাজনৈতিক দল।

এএফডি এই নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ—২০ দশমিক আট শতাংশ—ভোট পেয়েছে। কিন্তু সিডিইউ বা অন্য কোনো দল তাদের সঙ্গে জোট সরকার গড়তে রাজি না থাকায় তারা পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে থেকে যাবে।

নাৎসি পার্টির পতনের পর জার্মানির কোনো অতি ডানপন্থি দল নির্বাচনে এই পরিমাণ আসন পায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Gaza rescuers say Israeli forces kill 60, half near aid centres

Civil defence spokesman Mahmud Bassal told AFP that five people were killed while waiting for aid in the southern Gaza Strip and 26 others near a central area known as the Netzarim corridor, an Israeli-controlled strip of land that bisects the Palestinian territory

16m ago