বিক্ষোভ অবশ্যই মোকাবিলা করতে হবে: ইরানের প্রেসিডেন্ট

ইরানে মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা বাড়ছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ইরানজুড়ে চলা বিক্ষোভ আরও বড় আকার ধারণ করেছে। ছবি: রয়টার্স

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, 'অনুপযুক্ত পোশাক' পরার অভিযোগে নীতি পুলিশের হাতে আটক মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর দেশটিতে যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে, তা ইরানকে অবশ্যই মোকাবিলা করতে হবে।

আজ শনিবার তিনি এ কথা বলেন বলে ইরানের সরকারি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ইরানের সরকারি গণমাধ্যম জানায়, আজ প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদে বিক্ষোভের বিরুদ্ধে অভিযানে নিহত বাসিজ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর এক সদস্যের পরিবারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, 'যারা দেশের নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ অবস্থার বিরোধিতা করছে, ইরানকে অবশ্যই তাদেরকে মোকাবিলা করতে হবে।'

এ সময় প্রেসিডেন্ট 'বিক্ষোভ এবং জনশৃঙ্খলা-নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার মধ্যে পার্থক্য করার' প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং এসব বিক্ষোভের ঘটনাকে 'দাঙ্গা' বলে অভিহিত করেন।

ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের তথ্য অনুসারে, সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভে দেশটির বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। এ বিক্ষোভ দেশটির ৩১টি প্রদেশের বেশিরভাগ অংশে ছড়িয়ে পড়েছে।

শুক্রবার বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি জানিয়ে ইরানের বেশ কয়েকটি শহরে সরকারের সমর্থনে মিছিল হয়।

ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেখানো হয়েছে, মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের 'ইসরায়েলের সেনা' বলে অভিহিত করেছেন। তাদেরকে 'আমেরিকার মৃত্যু হোক' এবং 'ইসরায়েলের মৃত্যু হোক' বলে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

একইদিনে, ইরানের সেনাবাহিনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে 'শত্রুদের মোকাবিলা' করা হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়।

সম্প্রতি, 'সঠিকভাবে' হিজাব না পরার কারণে মাহসা আমিনিকে (২২) আটক করে ইরানের নীতি পুলিশ 'গাশত-ই এরশাদ'। এরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত শুক্রবার ১৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় গত শনিবার থেকে ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। মাহসা আমিনিকে পুলিশি হেফাজতে মারধর করার অভিযোগ আনেন বিক্ষোভকারীরা।

উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রথমে বিক্ষোভ শুরু হলেও তা ইরানের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। সবশেষ ২০১৯ সালে গ্যাসের মূল্য বাড়ার পর এমন বড় আকারে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল।

ইরানে স্টারলিঙ্ক সক্রিয় করবেন ইলন মাস্ক

বিক্ষোভ শুরুর পর ইরানের বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। নেটব্লকস জানিয়েছে, সরকার ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এ ছাড়া, কয়েকটি মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সমস্যা তৈরি হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারেও।

এ অবস্থায় স্পেসএক্সের সিইও এলন মাস্ক শুক্রবার বলেছেন, তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের ইটের প্রতিক্রিয়ায় ইরানে ফার্মের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিঙ্ক সক্রিয় করবেন। ইরানের মানুষ যেন স্বাধীনভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন সেজন্য এ উদ্যোগ। রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago