মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেবে ইইউ
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে তারা প্রস্তুত। এ ছাড়া, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার খবর প্রমাণিত হলে নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে তেহরানের বিরুদ্ধে।
আজ সোমবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
লুক্সেমবার্গে বৈঠকে ইইউভুক্ত দেশগুলোর মন্ত্রীরা বলেন, পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনির (২২) মৃত্যুতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে গত মাসে শুরু হওয়া ইরান সরকারের ধরপাকড়ে জড়িত প্রায় ১৫ জন ইরানির ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে এবং সম্পত্তি জব্দ করতে প্রস্তুত আছে।
বৈঠকে যোগ দেওয়ার সময় সময় জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা আজ একটি নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ চালু করব, যা নারী, তরুণ-তরুণী ও পুরুষদের বিরুদ্ধে নৃশংস অপরাধের জন্য দায়ীদের জন্য প্রযোজ্য হবে।'
তালিকাভুক্তদের মধ্যে ইরানের নীতি পুলিশ থাকবে বলে জানান তিনি।
লুক্সেমবার্গের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন অ্যাসেলবর্ন বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হলে ইরানের বিরুদ্ধে ইইউর নিষেধাজ্ঞা কয়েকজন ব্যক্তিকে কালো তালিকাভুক্ত করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।
ইইউ বৈঠকে আসার সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'তাহলে নিষেধাজ্ঞা শুধু কয়েকজন ব্যক্তির বিষয়ে হবে না।'
ইউক্রেন সম্প্রতি ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬ ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার হামলার খবর দিয়েছে। ইরান রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের কথা অস্বীকার করেছে। যদিও ক্রেমলিন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেপ্পে কফোড বলেন, 'আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি, ইরানি ড্রোনগুলো কিয়েভে আক্রমণ করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি নৃশংসতা।'
ইইউকে এ বিষয়ে এবং ইরানে বিক্ষোভকারীদের ধরপাকড়ের বিষয়ে কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে উল্লেখ করেন তিনি।
Comments