ইউক্রেনকে ১৪টি অ্যান্টি-ড্রোন অস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহে পেন্টাগনের চুক্তি

পেন্টাগন। রয়টার্স ফাইল ছবি

ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীকে শক্তিশালী করতে মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানি এলথ্রি হ্যারিসের সঙ্গে ১৪টি অ্যান্টি-ড্রোন অস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহের চুক্তি করেছে পেন্টাগন। এ চুক্তির অর্থমূল্য ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এলথ্রি হ্যারিসের বরাত দিয়ে আজ শনিবার সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এলথ্রি হ্যারিস জানিয়েছে, তাদের অ্যান্টি-ড্রোন অস্ত্র ব্যবস্থা ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করতে, শত্রু ড্রোনকে গুলি করতে এবং স্থলভাগের বিভিন্ন হুমকি থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করবে।  

চুক্তির অধীনে এলথ্রি হ্যারিস ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে ৪টি অ্যান্টি-ড্রোন অস্ত্র ব্যবস্থা এবং বছরের শেষের দিকে আরও ১০টি অ্যান্টি-ড্রোন অস্ত্র ব্যবস্থা ইউনিট সরবরাহ করবে।

৩.৭৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সামরিক সহায়তা ঘোষণা

এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের প্রেক্ষিতে ইউক্রেন ও এর প্রতিবেশী দেশগুলোকে আরও ৩ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সামরিক সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে হোয়াইট হাউস।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এ সহায়তার অংশ হিসেবে ইউক্রেনের জন্য প্রথমবারের মতো ব্র্যাডলি সাঁজোয়া যান পাঠানো হবে। এই সাঁজোয়া যান যুদ্ধে সেনা পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়। অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র থাকার কারণে এটিকে 'ট্যাঙ্ক কিলার' বলা হয়।

এ ছাড়া, পেন্টাগনের স্টক থেকে ২ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলারের ড্রডাউন সরাসরি ইউক্রেনে পাঠানো হবে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর দীর্ঘমেয়াদী সক্ষমতা তৈরি এবং আধুনিকায়নে সহায়তার জন্য বিদেশি সামরিক অর্থায়নের আওতায় ২২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠানো হবে।

ইউক্রেনকে সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তাকারী ইউরোপীয় মিত্রদের জন্য ৬৮২ মিলিয়ন ডলার বিদেশি সামরিক অর্থায়নও অন্তর্ভুক্ত আছে নতুন সহায়তা প্যাকেজে।

এদিকে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানি চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে ইউক্রেনে প্রায় ৪০টি সাঁজোয়া যান সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে ফোনালাপের পর এ ঘোষণা দেয় জার্মানি।

Comments

The Daily Star  | English
Women's Affairs Reforms Commission

Eliminate gender disparities in laws

The Women’s Affairs Reforms Commission has proposed a series of comprehensive reforms to eliminate all forms of discrimination against women embedded in the country’s laws, constitution, policies, and institutions.

9h ago