বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ রাখতে এখনো লড়ছে ইউক্রেন: জেলেনস্কি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে হিরোশিমায় বৈঠক করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবিঃ রয়টার্স
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে হিরোশিমায় বৈঠক করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবিঃ রয়টার্স

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আজ রোববার বলেছেন, তারা এখনও পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুত নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার জন্য লড়াই করছেন।

যদিও এর আগে তিনি বলেছিলেন, এখন শহরটি আর ইউক্রেনের হাতে নেই। এটি শুধু ইউক্রেনীয়দের হৃদয়েই আছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রাশিয়া বলছে, পুরো বাখমুত শহর তাদের দখলে এখন। জাপানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের আগে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল জেলেনস্কির কাছে।

শহরটির নিয়ন্ত্রণ এখনও ইউক্রেনের হাতে কি না জানতে চাইলে জেলেনস্কি তখন সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি তা মনে করি না। আজ বাখমুত শুধু আমাদের হৃদয়েই আছে।'

পরে অবশ্য জেলেনস্কির প্রেস সেক্রেটারি সের্গেই নাইকিফোরভ এক ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, প্রেসিডেন্ট ওই প্রশ্নের একটি ভিন্ন অংশের উত্তর দিচ্ছিলেন।

ওই পোস্টে তিনি লিখেন, সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, 'রাশিয়ানরা বলেছে তারা বাখমুত দখলে নিয়ে নিয়েছে।' সেই অংশে প্রেসিডেন্টের উত্তর ছিল, 'আমি তা মনে করি না'।

'এভাবে প্রেসিডেন্ট আসলে বাখমুতের দখল হয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন', যোগ করেন সের্গেই নাইকিফোরভ।

শনিবার বাখমুতের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করে মস্কো। তাদের দাবি সত্যি হলে ১৫ মাসের এ যুদ্ধের সবচেয়ে দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হওয়ার কথা।

ইতোমধ্যে বাখমুতের বেশিরভাগ অংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। জেলেনস্কির ভাষায়, 'এটি ট্র্যাজেডি। এ জায়গায় আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।'

এখানে মূলত ভাগনার গ্রুপের সেনারা যুদ্ধ চালিয়েছে। দলটির নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন ১ দিন আগে বলেছিলেন, তার সেনারা বাখমুত থেকে ইউক্রেনীয়দের বিদায় করতে সক্ষম হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

13h ago