খাশোগি হত্যায় সৌদি যুবরাজের হাত থাকতে পারে: ট্রাম্প

ইস্তান্বুলে সৌদি কনসুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগির নিহত হওয়াকে কেন্দ্র করে ক্রমেই তেঁতে উঠছে পশ্চিমের দেশগুলো। সবশেষ, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ করেছেন তীব্র অসন্তোষ। এতোদিন ট্রাম্প সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকলেও হঠাৎ তিনি ক্ষোভ ঝেড়েছেন যুবরাজের ওপর।
salman and trump
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

ইস্তান্বুলে সৌদি কনসুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগির নিহত হওয়াকে কেন্দ্র করে ক্রমেই তেঁতে উঠছে পশ্চিমের দেশগুলো। সবশেষ, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ করেছেন তীব্র অসন্তোষ। এতোদিন ট্রাম্প সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকলেও হঠাৎ তিনি ক্ষোভ ঝেড়েছেন যুবরাজের ওপর।

গত ২৩ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, “আমার মনে হয়- যুবরাজ গত ২ অক্টোবর খাশোগিকে হত্যার দায় ছোট ছোট কর্মকর্তাদের ওপর চাপিয়ে দিলেও, এর দায়ভার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ওপরও বর্তায়।”

এই হত্যার পেছনে যুবরাজ মোহাম্মদের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে কি না এমন প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, “এটা ঠিক যে, সে দেশে সব কিছু তো যুবরাজই করছেন। তাই কোনোকিছু ঘটলে বুঝতে হবে তিনিই তা করেছেন।”

জার্নালটির মতে, তবে ট্রাম্প মনে করেন না যে এই কাজের পেছনে সৌদি বাদশাহ সালমানের হাত রয়েছে।

একইদিনে ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের বলেন যে, এই ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যে সৌদি আরব ‘জঘন্যভাবে’ চেষ্টা করেছিলো। তারা বিষয়টিকে খুব ভালোভাবে সামলাতে পারেনি।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী সৌদি নাগরিক এবং ওয়াশিংটন পোস্ট-এর লেখক জামাল খাশোগি সৌদি যুবরাজের কঠোর সমালোচক ছিলেন। তাকে হত্যার কারণে ওয়াশিংটন এবং রিয়াদের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে। এই হত্যার ফলে সারাবিশ্বে নিন্দার ঝড় উঠলে পশ্চিমের বিভিন্ন দেশের কর্তাব্যক্তিরাও তাদের প্রতিক্রিয়া জানান।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও বলেন যে তিনি খাশোগি হত্যার বিষয়ে সৌদি যুবরাজকে বেশ কয়েকবার প্রশ্ন করেছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago