জিম্বাবুয়ে সিরিজ জেতার চেয়েও বড় যেসব প্রাপ্তি
![Mashrafee Mortaza Mashrafee Mortaza](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/mashrafe_at_hotel_1.jpg?itok=wsU3HbfU×tamp=1540490935)
হেসেখেলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জেতাটাই বাংলাদেশের জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। হয়েছেও তাই। এই সিরিজ জেতাটা তাই আর বড় কোন প্রাপ্তির খাতায় যোগ করার উপায় নেই। সামনে বিশ্বকাপ, এখন যা কিছু হবে সবই তাই বিশ্বকাপ ঘিরে। সেদিক থেকেই এই সিরিজে বড় কিছু প্রাপ্তি খুঁজে পেয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা।
ওপেনিংয়ে জমজমাট লড়াই
চোটে পড়ার আগে এক তামিম ইকবালই টানছিলেন বাংলাদেশকে। তার যোগ্য সঙ্গীর জন্যে হা হুতাশ করে মরছিল দল। চোটে তামিম ছিটকে যাওয়ার পর কি দশা হয় তা নিয়েও ছিল শঙ্কা। অথচ এই সময়েই দেখা মিলল আলোর রেখা। লিটন দাস আর ইমরুল কায়েস ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গী হতে পাল্লা দিয়ে রান করে চলেছেন। অধিনায়ক মনে করছেন তামিম ফিরলে এই লড়াই জমে যাবে আরও, ‘একটি স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা ওপেনিংয়ে হচ্ছে এটি খুব ইতিবাচক একটি দিক আমার কাছে। ওপেনিংয়ে তামিম না থাকার পরেও এমন প্রতিযোগিতা হচ্ছে। আমি নিশ্চিত যে ওরা তিনজনই (তামিম-লিটন-ইমরুল) যখন থাকবে এবং তামিম আসবে তখন প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে। কারণ তামিম হল আসল পারফর্মার। আর এই প্রতিযোগিতাটি যেন আরও বাড়ে সেটাই আসলে প্রত্যাশা করছি।’
সাইফুদ্দিনে আশার আলো
একজন চলনসই পেস অলরাউন্ডারের খোঁজ চলছিল অনেকদিন থেকেই। মিলছিল না জুতসই কাউকে। বেশ কয়েকদিন দলের বাইরে থাকার পর জিম্বাবুয়ে সিরিজে এসে এই জায়গায় সমাধানের পথ দেখাচ্ছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। এই সিরিজে তাকে ফিরে পাওয়া অধিনায়কের কাছে বড় প্রাপ্তি, 'সাইফুদ্দিন ভাল করেছে, ব্যাটিংও ভাল করেছে, বোলিংও ভাল করেছে তো অবশ্যই। ইংল্যান্ডে কখনও কখনও ম্যাচ খেলতে হতে পারে চার পেস বোলার নিয়ে। সেক্ষেত্রে সাইফুদ্দিন যদি সাতে এভাবে ব্যাটিং করতে পারে তাহলে সেটা আমাদের জন্য অনেক ইতিবাচক ব্যাপার।
নাজমুল ইসলাম অপুর বোলিং এবং…
সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি কখনো কখনো দরকার হয় আরেকজন বাঁহাতি স্পিনারের। আর সাকিব না থাকলে তো কথাই নেই। অভিজ্ঞ আব্দুর রাজ্জাকের পর এই জায়গাটা নিয়েছিলেন আরাফাত সানি। অ্যাকশন শোধরে তিনি আর ফিরতে পারেননি জাতীয় দলে। এই জায়গার ঘাটতি পুষাতে এখন অধিনায়ককে ভরসা দিচ্ছেন নাজমুল ইসলাম অপু, ‘অপুও খারাপ বোলিং করছে না। তাঁর অভিষেক হয়েছে অল্প কয়েকদিন হল। সেও খারাপ করছে না। সুতরাং ইতিবাচক দিক বেশ কিছু আছে। তবে আরও সময় যখন যাবে তখন বোঝা যাবে। এখনও তো আর্লি স্টেজ, বাংলাদেশে খেলছে, সকলেই তাই আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু আরও সামনে যখন যাবে, বড় ম্যাচের ক্ষেত্রে তখন আরও পরিষ্কার বোঝা যাবে। ’
এসব ইতিবাচক দিকের পাশাপাশি এশিয়া কাপ জিততে না পারা মাশরাফির কাছে নেতিবাচক দিক। বড় মঞ্চে স্নায়ু চাপ কতটুকু জেতা গেল তাই এখন দলের মূল চ্যালেঞ্জ, ‘যেসব ইতিবাচক দিকের কথা বলছি, এগুলো নেতিবাচকভাবেও বলা যায় যেমন এশিয়া কাপ ফাইনাল। সুতরাং বড় মঞ্চে আমরা কেমন করি সেটাও কিন্তু ম্যাটার। এখান থেকেই আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে হবে।'
Comments