জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশই করল টাইগাররা

লক্ষ্যটা বেশ বড়ই ছিল। ২৮৭ রানের। কিন্তু সে লক্ষ্যকে মামুলী বানিয়ে দিনেল ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার। এ দুই ব্যাটসম্যানের রেকর্ড জুটিতেই সহজ জয় পায় বাংলাদেশ। ৭ উইকেটের বড় জয়েই জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
রেকর্ড জুটি গড়ার পথে ইম্রুল ও সৌম্য। ছবি : ফিরোজ আহমেদ।

লক্ষ্যটা বেশ বড়ই ছিল। ২৮৭ রানের। কিন্তু সে লক্ষ্যকে মামুলী বানিয়ে দিনেল ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার। এ দুই ব্যাটসম্যানের রেকর্ড জুটিতেই সহজ জয় পায় বাংলাদেশ। ৭ উইকেটের বড় জয়েই জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

অথচ ইনিংসের প্রথম বলেই লিটন কুমার দাসকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর সৌম্য সরকারকে নিয়ে ইমরুল কায়সের প্রতিরোধ। শুধু তাই নয়, গড়েন রেকর্ড এক জুটি। ঘরের মাঠের সর্বোচ্চ জুটির সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটের সেরা। মূলত ২২০ রানের এ জুটিতেই জয়ের ভিত পায় বাংলাদেশ। এরপর এ দুই ব্যাটসম্যান অইউত হলেও জয় পেতে কোন সমস্যা হয়নি টাইগারদের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

জিম্বাবুয়ে : ২৮৬/৫ (৫০ ওভার) (মাসাকাদজা ২, জুওয়াও ০, টেইলর ৭৫, উইলিয়ামস ১২৯*, রাজা ৪০, মুর ২৮, চিগুম্বুরা  ১*;  রনি ১/৩৯, সাইফউদ্দিন ১/৫১, আরিফুল ০/১৭, মাশরাফি ০/৫৬, সৌম্য ০/১৬, নাজমুল ২/৫৮, মাহমুদউল্লাহ ০/৪০)।

বাংলাদেশ :  ২৮৮/৩ (৪২.১ ওভার)  (লিটন ০, ইমরুল ১১৫, সৌম্য ১১৭, মুশফিক ২৮*, মিঠুন ৭*; জার্ভিস ১/৪৭, নাগারাভা ১/৪৪, টিরিপানো ০/৩৩, রাজা ০/৪৭, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ১/৭১, উইলিয়ামস ০/৪৩, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ১/৩)

ফলাফল : বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ : সৌম্য সরকার।

ম্যান অব দ্য সিরিজ : ইমরুল কায়েস।

দলকে জয়ের পথে এনে ফিরলেন ইমরুল

বাংলাদেশ দলকে সহজ জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ইমরুল কায়েস। ওপেনিংয়ে নেমে দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে আউট হয়েছেন তিনি। মিডঅফে এল্টন চিগুম্বুরার হাতে ধরা পড়ার আগে ১১৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।  ১১২ বলে ১০টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি।  এর আগে তিন ম্যাচে সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন তিনি। তিন ম্যাচে ৩৪৯ রান তুলে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩১২ রান করা তামিম ইকবালের রেকর্ড ভাঙেন তিনি। তবে তিন ম্যাচের সিরিজে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা পাকিস্তানের বাবর আজমের (৩৬০)। তারপরই আছে ইমরুলের অবস্থান।

ইমরুল কায়েসের সেঞ্চুরি

ক্যারিয়ারের সেরা ছন্দে আছেন ইমরুল কায়েস। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি সিরিজে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এ ব্যাটসম্যান। শুরু থেকেই দারুণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাটিং করা এ ব্যাটসম্যান ৯৯ বলে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন। টিরিপানোর বলে ফাইন লেগে ঠেলে দিয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরির উল্লাসে মাতেন এ ওপেনার। ৯টি চার ১টি ছক্কার সাহায্যে এরান করেন তিনি। তবে সিরিজে হতে পারতো তিনটি সেঞ্চুরি। আগের ম্যাচে নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার হয়েছেন তিনি।  

রেকর্ড জুটির পর সৌম্যর বিদায়

ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ জুটি তো গড়েছেনই, গড়েছেন দ্বিতীয় উইকেট জুটির সর্বোচ্চ রান। নিজেও তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে আউট করে জুটি ভাঙতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজার বলে লংঅন সীমানার উপর দিয়ে আরও একটি ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ধরা পড়েন টিরিপানোর হাতে। ৯২ বলে ১১৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন সৌম্য। ৯টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন এ তরুণ।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের রেকর্ড

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলতি বছরই দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২০৭ রানের জুটি গড়েছিলেন তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এদিন সে রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েস। সিকান্দার রাজার বলে দারুণ এক ছক্কা হাঁকিয়ে এ রেকর্ড গড়েন সৌম্য। ২২০ রানের নতুন রেকর্ড গড়েন এ দুই ব্যাটসম্যান।

সৌম্যর ঝড়ো সেঞ্চুরি

ফর্মহীনতায় অনেক থেকেই জাতীয় দলে আসা যাওয়ার মধ্যেই আছেন সৌম্য সরকার। এক ম্যাচে ভালো করলে আবার টানা ব্যর্থতায় দল থেকে বাদ পড়েন। তবে সাম্প্রতিক সময়টা দারুণ কাটছে তার। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত রান করছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করার পর এবার মূল ম্যাচেও করলেন সেঞ্চুরি। তাও স্বভাবসুলভ আগ্রাসন চালিয়ে। যদিও শুরুতে ততোটা ঝড় তোলেননি। ৫৪ বলে ফিফটি স্পর্শ করা সৌম্য পরের ৫০ রান করেছেন মাত্র ২৭ বলে। মোট ৮১ বলে ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি।

ঘরের মাঠে বাংলাদেশের সেরা জুটি

৬ রানে লিটনকে হারানোর পর সৌম্য সরকারকে নিয়ে বাংলাদেশ দলের হাল ধরেন ইমরুল কায়েস। দারুণ জুটি গড়ে দলকে সহজ পথে তো এনেছেনই, গড়েছেন নতুন রেকর্ড। ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড গড়েছেন এ দুই ব্যাটসম্যান। ওয়ালিংটন মাসাকাদজার বলে দারুণ এক ছক্কা হাঁকিয়ে নতুন এ রেকর্ড গড়েন সৌম্য। এর আগে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৭৮ রানের জুটি গড়েছিলেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহীম।

সৌম্যর ফিফটি

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। আর ঘরোয়া ক্রিকেটে চলতি জাতীয় লিগেও দারুণ ছন্দে। সে ছন্দটা ধরে রাখলেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। তৃতীয় ওয়ানডেতে ডাক পেয়েই দারুণ এক হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। শেন উইলিয়ামসের বলে মিডউইকেট দিয়ে দারুণ এক ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। ৫৪ বলে এ রান করতে ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন এ ব্যাটসম্যান।

ইমরুল-সৌম্য জুটিতে শতরান

শুরু থেকেই বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছেন ইমরুল কায়েস। ঝড় না তুললেও বেশ সাবলীল সৌম্য সরকারের ব্যাটও। এ দুই ব্যাটসম্যান এর মধ্যেই উপহার দিয়েছেন শতরানের জুটি। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে ছক্কা হাঁকিয়ে এ জুটির শতরান স্পর্শ করেন ইমরুল।

ইমরুল কায়েসের হাফসেঞ্চুরি

টানা তৃতীয় ম্যাচে পঞ্চাশোর্ধ রান পেলেন ইমরুল কায়েস। দারুণ ছন্দে থাকা ইমরুল মাত্র ৪১ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন এ ওপেনার। ৮টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। সিরিজের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া এ ব্যাটসম্যান আগের ম্যাচে করেছেন ৯০ রান

ইমরুল-সৌম্যর জুটিতে পঞ্চাশ

ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারানো বাংলাদেশ ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যেই এ দুই ব্যাটসম্যান গড়েছেন ৫০ রানের জুটি। শুরু থেকে দুই ব্যাটসম্যানই আগ্রাসী ব্যাটিং করছেন। কাইল জার্ভিসের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে এ জুটির পঞ্চাশ পূর্ণ করেন ইমরুল। মাত্র ৪০ বলে জুটির ফিফটি পূর্ণ করেন তারা।

ইনিংসের প্রথম বলেই আউট লিটন

ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলেন লিটন কুমার দাস। কাইল জার্ভিসের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েছেন এ ওপেনার। রিভিউ নিয়েছিলেন। তবে লাভ হয়নি। আম্পায়ার্স কলে আউট হয়েছে তিনি। আগের ম্যাচেও ইনিংসের শুরুটে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েছিলেন তিনি। সে যাত্রা রিভিউ নিয়ে বাঁচলেও এদিন খালি হাতেই সাজঘরে যেতে হয় তাকে।

উইলিয়ামসের সেঞ্চুরিতে বড় লক্ষ্য বাংলাদেশের 

৬ রান তুলতেই নেই জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার। শুরুতেই সফরকারীদের চেপে ধরে টাইগাররা। সেখান থেকে শন উইলিয়ামসের দারুণ প্রতিরোধ। সঙ্গী হিসেবে কখনো পেলেন ব্রেন্ডন টেইলরকে, কখনো সিকান্দর রাজাকে, কখনো পিটার মুরকে। কার্যকরী জুটি গড়েছেন, নিজেও তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তাতেই বড় সংগ্রহ পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। নির্ধারিত ৫০ ওভার ৫ উইকেটে ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দলটি। ফলে ২৮৭ রানের বড় লক্ষ্যই পেয়েছে টাইগাররা।

শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে ১২৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন উইলিয়ামস। ১৪৩ বলে এ রান করতে ৮টি চারের পাশাপাশি ৩টি ছক্কা মেরেছেন এ ব্যাটসম্যান। এছাড়া টেইলর ৭৫, রাজা ৪০ ও মুর ২৮ রান করেছেন। বাংলাদেশের পক্ষে ৫৮ রানের খরচায় ২টি উইকেট পেয়েছেন নাজমুল ইসলাম অপু।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জিম্বাবুয়ে: ২৮৬/৫ (৫০ ওভার) (মাসাকাদজা ২, জুওয়াও ০, টেইলর ৭৫, উইলিয়ামস ১২৯*, রাজা ৪০, মুর ২৮, চিগুম্বুরা  ১*;  রনি ১/৩৯, সাইফউদ্দিন ১/৫১, আরিফুল ০/১৭, মাশরাফি ০/৫৬, সৌম্য ০/১৬, নাজমুল ২/৫৮, মাহমুদউল্লাহ ০/৪০)।

শন উইলিয়ামসের সেঞ্চুরি

ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন জিম্বাবুয়ের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান শন উইলিয়ামস। দলের প্রয়োজনীয় সময়ে দারুণ ব্যাট করে সেঞ্চুরির পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের ইনিংস মেরামত করেছেন এ ব্যাটসম্যান। ব্রেন্ডন টেইলরের পর সিকান্দার রাজার সঙ্গে দুটি দারুণ জুটি গড়েন। সাইফউদ্দিনের বলে লংঅনে বল ঠেলে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি। ১২৪ বলে ৭টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি।

রাজার বিদায়ে ভাঙল জুটি

উইকেটে নেমেই হাত খুলে ব্যাট করছিলেন সিকান্দার রাজা। শন উইলিয়ামসের সঙ্গে ৮৪ রানের দারুণ এক জুটিও গড়েছিলেন।  তবে রাজাকে ফিরিয়ে  জুটি ভেঙেছেন নাজমুল ইসলাম অপু। তার ফুলটাস বল লংঅনের উপর দিয়ে সীমানা পার করতে চেয়েছিলেন রাজা। তবে ধরা পরে সৌম্য সরকারের হাতে। ৫১ বলে ৪০ রান করেছেন এ অলরাউন্ডার।

টেইলরকে আউট করে জুটি ভাঙলেন অপু

ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন জিম্বাবুয়ের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর। বেশ আগ্রাসী ব্যাট চালিয়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংস মেরামত করেছেন, নিজেও তুলে নিয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। তবে বড় ক্ষতি করার আগেই তাকে ফিরিয়েছেন নাজমুল ইসলাম অপু। এ বাঁহাতি স্পিনারের বলে স্লগ সুইপ করতে গেলে টপ এজ হয়ে মুশফিকুর রহীমের হাতে ধরা পড়েন। আউট হওয়ার আগে আগের ম্যাচের মতোই ৭৫ রান করেছেন তিনি। ৭৩ বলে ৮টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। উইলিয়ামসের সঙ্গে গড়েন ১৩২ রানের দারুণ এক জুটি।

উইলিয়ামসের ফিফটি

এক প্রান্তে টেইলর আগ্রাসী দাপুটে ব্যাটিং করলেও আরেক প্রান্তে দেখে শুনে খেলছেন শন উইলিয়ামস।  জিম্বাবুয়ের ইনিংস মেরামত করে এর মধ্যেই তুলে নিয়েছেন নিজের হাফসেঞ্চুরি। নাজমূল ইসলাম অপুর বলে লংঅফে ঠেলে দিয়ে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি। ৭৩ বলে আসে তার ৫০ রান। এ রান করতে ৪টি চার মেরেছেন এ ব্যাটসম্যান।

টেইলর-উইলিয়ামসের শতরানের জুটি

দারুণ ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে শতরানের জুটি গড়েছেন শন উইলিয়ামস ও ব্রেন্ডন টেইলর। ১১৮ বলে এ জুটিতে আসে ১০০ রান। টেইলর তুলে নিয়েছেন নিজের হাফসেঞ্চুরি। হাফসেঞ্চুরির পথে আছেন উইলিয়ামসও।

টেইলরের হাফসেঞ্চুরি

দারুণ এক হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন জিম্বাবুয়ের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর। ৪৯ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এ ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি স্পর্শ করেন এ অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। হাফসেঞ্চুরির পথে ৫টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন তিনি।

উইলিয়ামস-টেইলরের ৫০ রানের জুটি

দলীয় ৬ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পরা জিম্বাবুয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রান্ডেন টেইলর ও শন উইলিয়ামসের ব্যাটে। এর মধ্যেই এ দুই ব্যাটসম্যান গড়েছেন ৫০ রানের জুটি।  শুরুতে কিছুটা ধীর গতিতে ব্যাট করলেও ধীরে ধীরে দুই ব্যাটসম্যানই চড়াও হচ্ছেন টাইগার বোলারদের উপর।

মাসাকাদজাকে ফেরালেন রনি

জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলার মাসুলটা গুনলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজাও। তাকে বোল্ড করে দিয়েছেন তরুণ পেসার আবু হায়দার রনি। অফস্টাম্পের বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। ব্যাটের কানায় লেগে বল লাগে স্টাম্পে। আউট হওয়ার আগে ১০ বলে ২ রান করেছেন মাসাকাদজা।  

শুরুতেই সাইফউদ্দিনের আঘাত

ইনিংসের শুরুতেই সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ দল। নতুন বল হাতে নিয়ে নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট নিলেন সাইফউদ্দিন। সিভাস জুওয়াওকে বোল্ড করে দিয়েছেন তিনি। সাইফউদ্দিনের স্টাম্পে রাখা বল পা না বাড়িয়ে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলার মাসুল দিয়েছেন এ ওপেনার। ৩ বল মোকাবেলা করে রানের খাতা খুলতে পারেননি এ ব্যাটসম্যান।

বাংলাদেশ দল তিন পরিবর্তন

সিরিজ জিতলেও একাদশে খুব বেশি অদল বদল না হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অধিনায়ক। তবে এদিন দলে তিনটি বদল আনা হয়েছে। প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ ফজলে মাহমুদ রাব্বির জায়গায় দলে এসেছেন সৌম্য সরকার।

অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের জায়গায় অভিষেক হয়েছে আরিফুল হকের। বিশ্রাম পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার জায়গায় খেলছেন আবু হায়দার রনি। সিরিজে ব্যাবধান কমানোর ম্যাচে একাদশে দুই পরিবর্তন নিয়ে নেমেছে জিম্বাবুয়েও। দলে এসেছেন রিচার্ড নাগারাবা ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, আরিফুল হক, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মাশরাফি মর্তুজা, নাজমুল ইসলাম অপু, আবু হায়দার রনি।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: চিফাস জুওয়াও, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, ব্রান্ডেন টেইলর, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, পিটার মুর, এল্টন চিগুম্বুরা, কাইল জার্ভিস, রিচার্ড নাগারাবা, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

টানা তৃতীয় ম্যাচে টস জিতেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা। শিশিরের কথা মাথায় রেখে এদিনও অনুমিতই ভাবেই নিয়েছেন ফিল্ডিং। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জিতে তাই সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করতে চায় বাংলাদেশ।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago