ব্যাগ গুছিয়েই রাখেন সৌম্য
এশিয়া কাপের স্কোয়াডে ছিলেন না। খুলনায় খেলছিলেন একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় হুট করে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে উড়ে যান আরব আমিরাতে। জিম্বাবুয়ে সিরিজেও একই দশা। ছিলেন না তিন ম্যাচের ১৫ জনের দলে। এবারও ছিলেন খুলনায়। খেলছিলেন জাতীয় লিগের ম্যাচ। ডাক পেয়ে তড়িঘড়ি সেখান থেকে আসতে হয়েছে চট্টগ্রামে। দারুণ সেঞ্চুরি করে জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দেওয়ার পর এই ওপেনার জানিয়েছেন, কোথায় কখন ডাক পড়ে তাই এখন ব্যাগ নাকি গুছিয়েই রাখেন তিনি।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে ইনজুরির কারণ ছাড়াও মূল দল বদলানোর সংস্কৃতি শুরু হয়েছে। এই চক্করে দুবারই মাঝপথে দলে ফিরেন সৌম্য। জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার দিনে ৯২ বলে ১১৭ রানের ইনিংস খেলে বেশ ফুরফুরে সৌম্যের মন মেজাজ। বারবার ছুটোছুটি করতে হচ্ছে, ব্যাগ কি তার গুছানোই তাকে এমন প্রশ্নে দিলেন সায়, ‘এখন ব্যাগ গুছানোই থাকে। অলরেডি গুছানো, বরিশাল যেতে হবে। ভালোই হচ্ছে যে খেলার মধ্যে আছি। একটা ভাল দিন গেল আজ, কাল হয়তো সেই আত্মবিশ্বাসটা কাজে দিবে।’
টেস্ট দলে না থাকায় জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষ করেই সৌম্যকে যেতে হবে বরিশাল। সেখানে আছে জাতীয় লিগের পঞ্চম রাউন্ডের খেলা। এমন দৌড়ঝাঁপে ঝক্কি থাকলেও কোন চাপ অনুভব করেন না তিনি, ‘নার্ভাসনেস কাজ করে না। হয়তো সাময়িকভাবে মনে হয় জার্নিটা বেশি হয়ে যাচ্ছে, আবার কাল খেলা। একটা দিন আবার বিশ্রাম নিলে ঠিক হয়ে যায়। কাজ তো খেলা, খেলতেই হবে।’
দুই টেস্ট ম্যাচের দল এরমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। সেখানে ‘আপাতত’ তিনি নেই। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের বর্তমান যে সংস্কৃতি। আবারও দেশের কোনও প্রান্ত থেকে যে তার ডাক পড়বে না, কে বলতে পারে!
Comments