'আশরাফুলই চিটাগংয়ের বড় পাওয়া'
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় আসরে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থেকেই নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবার ফিরলেন সেই বিপিএলে। ষষ্ঠ আসরে খেলবেন চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে। আর তাকে দলে পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত ফ্র্যাঞ্চাইজিটির চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ। তাকেই দলের সবচেয়ে বড় পাওয়া বলে জানালেন তিনি।
‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা আশরাফুলের ভিত্তি মূল্য ১৮ লাখ টাকায় আশরাফুলকে দলে নিয়েছে বন্দর নগরীর দলটি। বাংলাদেশ দলের সাবেক এ অধিনায়ক নিজেকে প্রমাণের প্রথম বড় সুযোগ পেলেন বলে বিশ্বাস করেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিক, ‘আশরাফুলের মত খেলোয়াড় অতীত বর্তমানে মনে হয় আসে নি। সে এতটা ভালো। আশরাফুলই হয়তো আমাদের জন্য বড় পাওয়া হয়ে যাবে। এটা তার জন্য জাতীয় দলে খেলার একটা বড় সুযোগ। আশা করি সে আগামী বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলে ডাক পাবে।’
২০১৩ সালে বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকায় পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন। এরপর ২০১৬ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরার অনুমতি পান আশরাফুল। তবে পাননি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। এ সময় আন্তর্জাতিক ম্যাচেও নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি। ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে চলতি বছরের ১৩ আগস্ট। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর প্রথম বিপিএলেই দল পেলেন সর্ব কনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান।
তবে নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরা খেলোয়াড়কে দলে টানা এবারই প্রথম নয় চিটাগং ভাইকিংসের। এর আগে পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরকেও দলে নিয়েছিল এবং সাফল্যও পেয়েছিল। এবারও এমন কিছুরই আশা করছেন আব্দুল ওয়াহেদ, ‘আমি কিন্তু আরও একবার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমার পুরনো অভিজ্ঞতা আছে। পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরকে দলে নিয়েছিলাম। সেখানে আমি সফল হয়েছিলাম। আমাদের দলে খেলার পর সে পাকিস্তান জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে।’
সবমিলিয়ে দল নিয়ে ভীষণ খুশি আব্দুল ওয়েহেদ। একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসরের আশা করছেন তিনি, ‘আমি খুশি দল নিয়ে। আজ ভাগ্য আমাদের হয়ে কথা বলেছে। আমরা যাকে চেয়েছি, তাকেই পেয়েছি। আমরা আমাদের মত করে দল করতে পেরেছি। আর এবার প্রতিটা দল খুবই ব্যালেন্স। আমি মনে করি এবারের বিপিএল সেরা বিপিএল হবে, প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিপিএল হবে।’
Comments