‘কাল আবার খারাপ করলে সবকিছু ভুলে যাবেন’

ওয়ানডেতে রান পেয়ে প্রশংসায় ভাসছেন ইমরুল কায়েস। জীবনের সেরা ছন্দ তাকে তুলেছে নতুন উচ্চতায়। তবে চারপাশের এই বাহবা, মাতামাতিতে মগ্ন নন ইমরুল কায়েস। তিনি ঠিক জানেন, আবার খারাপ করলেই উলটে যাবে পাশার দান।
Imrul Kayes
ফাইল ছবি

ওয়ানডেতে রান পেয়ে প্রশংসায় ভাসছেন ইমরুল কায়েস। জীবনের সেরা ছন্দ তাকে তুলেছে নতুন উচ্চতায়। তবে চারপাশের এই বাহবা, মাতামাতিতে মগ্ন নন ইমরুল কায়েস। তিনি ঠিক জানেন, আবার খারাপ করলেই উলটে যাবে পাশার দান।

এশিয়া কাপের মাঝপথে দলে যোগ দিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেন ভীষণ দরকারি এক ইনিংস। এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ইমরুল আবির্ভূত হন ভিন্নরুমে। তিন ম্যাচের মধ্যে দুটো সেঞ্চুরি, একটা প্রায় সেঞ্চুরিতে ৩৪০ রান। তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান। সব মিলিয়েই দ্বিতীয় সেরা।

প্রতিপক্ষ যেমনই হোক। কেবল রান পাওয়াতেই নয়। পুরো সিরিজে ইমরুলের শরীরী ভাষাতেও দেখে মিলেছে বড় বদল। পুরোটা সময় থেকেছেন আগ্রাসী। দলের চাহিদা মেটাতে দেখা গেছে তার ব্যাটে ক্ষিধে।

এখনই তো সময় প্রশংসায় ভাসার। তবে ক্রিকেট জীবনে এইসব প্রংশসা যে খুব ক্ষণস্থায়ী বাস্তবতাই বুঝিয়েছে তাকে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে তাই বললেন, ‘কেউ যদি প্রশংসা করে স্বাভাবিকভাবেই ভালো লাগে। তবে এর উল্টোদিকটাও ভাবতে হচ্ছে। আমি ওভাবেই চিন্তা করছি। আজ ভালো খেলছি বলে অনেক প্রশংসা করছেন কাল আবার খারাপ করলে সবকিছু ভুলে যাবেন। সব কিছু চিন্তা করতে হয়। দিনশেষে নিজের খেলার দিকেই মনোযোগ রাখা ভালো।’

এখন রান পাচ্ছেন বলে মিলছে হাততালি। তবে আগে একেবারে রান পেতেন না। অবস্থাটা যে সেরকম নয় মনে করিয়ে দিয়েছেন তাও, ‘আগে বড় বড় দলের বিপক্ষে রান করেছি। কিন্তু সেটা দেখা গেল ৫০-৬০-৭০ রানে থেমে গেছে। ইনিংসটা হয়তো বড় করতে পারিনি। বড় করতে পারলে বলতে পারতেন আপনি অনেক পরিণত ব্যাটসম্যান, ধারাবাহিক।’

‘যদি দেখেন ২০১০ সালে প্রায় এক হাজারের কাছাকাছি রান করেছি। (সব সংস্করণ মিলিয়ে)। তখন কিন্তু অনেক কিছু বলা হয়নি এটা নিয়ে। কারণ আমার সেঞ্চুরি কম ছিল। এখন সেঞ্চুরি করেছি বলে সবার চোখে পড়েছে। আগেও রান করেছি কিন্তু বড় করতে পারিনি। এখন চেষ্টা করি সেট হয়ে গেল ইনিংসটা বড় করতে। দলের প্রয়োজনমতো খেলা।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago