প্রত্যাশার সংলাপ
নবগঠিত বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে সংলাপে বসবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনকে পাঠানো এক চিঠিতে সংলাপের এই তারিখ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংলাপের এই আয়োজনকে ইতিবাচকভাবেই দেখা হচ্ছে। তবে সংলাপের অতীত ইতিহাস যদিও সুখকর নয়।
এ বিষয়ে আজ (৩১ অক্টোবর) দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আগে থেকেই তো কিছু বলা যাচ্ছে না। সংলাপ হোক। ফলপ্রসূ হবে বলেই আশা করছি।”
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “সংলাপের বিষয়টি যেভাবে এসেছে, সরকারি দলের পক্ষ থেকে এর আগে যেসব কথাবার্তা বলা হয়েছে, সেক্ষেত্রে বিষয়টি ঠিক পরিষ্কার নয়। তারপরও প্রধানমন্ত্রী চিঠি দিয়ে সংলাপে বসতে রাজি হয়েছেন। বিষয়টি ইতিবাচক।”
মান্না বলেন, “কিন্তু এই সংলাপ আহ্বানের মধ্যেই বেগম খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে যা হয়েছে তা উদ্বেগের। ফলে জটিলতা তো একটু থেকেই যাচ্ছে। তারপরও বলবো, গণতন্ত্র বিনির্মাণে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই।”
“যে দেশে বিচারপতি থাকাবস্থায় শাহাবুদ্দিন আহমেদকে রাষ্ট্রপতির আসনে বসিয়ে দেওয়া যায়, সেখানে সবই সম্ভব। তাই সংলাপের সাফল্য চাই যুক্তি নির্ভর। সেক্ষেত্রে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের নিয়ে একটি যৌথ কমিটি গঠন করতে পারে সরকার।” আগামী নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য এটি খুবই কার্যকর হবে বলে মান্নার বিশ্বাস।
এর আগে, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করার জন্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে একটি অর্থবহ সংলাপের আহ্বান জানায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গত ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় ড. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে দেশকে উত্তরণ ঘটানোকে একটি জাতীয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে সেই চিঠিতে বলা হয়, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য ঘোষণা করেছে।
Comments