তুষার, রাজ্জাকদের কাছ থেকে প্রেরণা নিচ্ছেন মিঠুন
ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর রান করে টেস্ট দলে ফেরার দাবি জানিয়েছিলেন তুষার ইমরান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নির্বাচকরা তাকে বিবেচনা না করে সুযোগ দিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুনকে। সেই মিঠুনই আবার বড় মঞ্চে টিকে থাকতে প্রেরণা নিচ্ছেন তুষারের কাছ থেকে। ব্যাটসম্যান মিঠুনকে প্রেরণাদায়ক খুলনা দলের সতীর্থ আব্দুর রাজ্জাকের বোলিংও।
প্রায় এক যুগ ধরে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলছেন মিঠুন। টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডের ধাপ পেরিয়ে তবেই তার সামনে দুয়ার খুলেছে টেস্ট দলের। বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে এরকম পাকাপোক্ত হয়ে নামার উদাহরণ খুব কমই।
২০০৬ সাল থেকে প্রথম শ্রেণী ক্যারিয়ার শুরুর পর বেশিরভাগ ম্যাচই খেলেছেন খুলনার হয়ে। তারকায় ঠাসা খুলনা দলে জায়গা পাওয়াও তখন বেশ কঠিন। তবে মিঠুনের জন্যে দিনশেষে এমন লড়াই-ই হয়েছে শেখার মঞ্চ, ‘আমি যখন শুরু করি তখন থেকেই আপনারা জানেন খুলনা দলে সবাই সুপারস্টার। জাতীয় দলের ছয়-সাতজন থাকে। একটা বড় প্লেয়ারের সঙ্গে খেললে অনেক কিছু শেখার থাকে। সেদিক থেকে আমি ভাগ্যবান যে খুলনা দলের হয়ে অনেকদিন থেকে খেলতে পারছি। ওটা অবশ্যই সাহায্য করবে টেস্টে।’
এই সময়ে সবচেয়ে বেশি শিখেছেন যাদের কাছ থেকে আলাদা করে নাম নিলেন তাদের। দেশের প্রথম শ্রেণীতে সবচেয়ে বেশি উইকেট রাজ্জাকের, সবচেয়ে বেশি রান তুষারের। উইকেট, প্রতিপক্ষ ইত্যাদির সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের হয়ত বিস্তর তফাত। কিন্তু প্রতিনিয়ত পারফর্ম করে যাওয়ার যে মানসিকতা তা শিক্ষণীয় মিঠুনের কাছে, ‘উনাদের কাছ থেকে একটা জিনিস শিখেছি। তাদের পারফর্ম করার যে তাগিদটা, প্রত্যেকটা ম্যাচেই। তুষার ভাই যখন ব্যাটিংয়ে নামে যত কঠিন পরিস্থিতি থাকুক উনি কোন না কোনভাবে মানিয়ে নেয়। রাজ ভাইও একই। বোলিংয়ে যেদিন সাহায্য পায় না (উইকেট থেকে) সেদিনও উনি চেষ্টা করে।’
নির্দিষ্ট দিনে রান পাবেন, এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না। কিন্তু ভালো করার তাদিগটা সব সময় চূড়ায় রাখার গুণ তুষার-রাজ্জাকদের কাছ থেকে নিয়ে এগুতে চান মিঠুন, ‘একজন খেলোয়াড় হিসেবে শতভাগ চেষ্টা করাটা আমার হাতে আছে। সব সময় সফল হতে পারব সেটা হাতে নাই। একটা ভাল বলে আমি আউট হয়ে যেতে পারি। কাজেই উনাদের মধ্যে যে চেষ্টা দেখেছি ওটা আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করে।’
Comments