টেস্টে যেমন মনোভাব চান মিঠুন
ঠান্ডা মেজাজের মানুষ। কথা বলেন ধীরলয়ে। জীবন যাপনেও বেশ নির্বিকার মোহাম্মদ মিঠুন। দারুণ আনন্দের খবর কিংবা চরম দুঃসময়েও থাকেন স্বাভাবিক। ওয়ানডেতে এই মিঠুনকেই ক্রিজে গিয়ে ব্যাটকে উত্তাল করতে দেখা গেছে। দ্রুত রান বাড়ানোর অ্যাপ্রোচে বাহবা কুড়িয়েছেন। ওয়ানডের ছন্দ তাকে দেখিয়েছে টেস্টের প্রবেশ পথও। তবে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে যে দাবি অন্য। উইকেটে গিয়ে কাটাতে হবে লম্বা সময়। মিঠুন জানালেন, সেই রেসিপিও জানা আছে তার।
টানা তিন দিন অনুশীলনের পর বুধবার ছিল দলের বিশ্রাম। হোটেলে শুয়ে বসেই কাটছে বেশিরভাগ ক্রিকেটারের দিন। টেস্ট দলে যে সুযোগ পাবেন নিজেও আশা করেননি। এমনকি গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হওয়ার পরও টের পাননি। এক সাংবাদিকের কাছ থেকেই পান সুখবর।
সুযোগটা হুট করে এলেও ভড়কাননি, প্রায় এক যুগ ধরে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা যে তার ঝুলিতে জমা। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বললেন কেবল উইকেটে পড়ে থাকলেই যে আসবে সাফল্য, তেমন নয়, ‘অবশ্যই টেস্ট সংস্করণটাই তো সময় নিয়ে খেলার। একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে আমারও পরিকল্পনা থাকবে সময় নিয়ে খেলার। কিন্তু দিনশেষে রানটা গুরুত্বপূর্ণ। যেটা অনুভব করি। একটা ব্যাটসম্যান উইকেটে যত সময়ই কাটাক তার যদি রান না হয় সে কিন্তু সেট না। অবশ্যই উইকেটে সময় নেব কিন্তু বাজে বলটা মারব। তাহলে চাপটাও কমে যায়।’
‘অবশ্যই কঠিন পরিস্থিতি হলে তো আমাকে সারভাইব করতেই হবে। কিন্তু গিয়ে যদি দেখি স্কোর করার অপশন আছে অবশ্যই আমি চেষ্টা করব রান করতে।’
টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু। সেখানে খুব সফল হননি, ওয়ানডের শুরুটা অবশ্য ঝলমলে। ধরে রেখেছেন জায়গা। বিশ্বকাপ ভাবনায় আছেন জোরালোভাবে। তবে ক্যারিয়ারের পূর্ণতার জন্যই চান বনেদি পোশাকে নামতে, নিজের সামর্থ্যের মাপকাঠি জানারও জন্য মিঠুন বেছে নিচ্ছে টেস্টকেই, ‘যদি টেস্ট খেলতে পারি তখনই আমার পরিপূর্ণতা আসবে। টেস্ট ক্রিকেটে যখন আমি সফল হবো তখনই আমার মনে হবে আমি ক্রিকেটের জন্য ফিট। আমারও স্বপ্ন ছিল সুযোগ পাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করা।’
Comments