ঘরের মাঠে নামতে মুখিয়ে আবু জায়েদ
আবু জায়েদ চৌধুরী রাহির সিলেটের বাসা থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দূরত্ব কত? চাইলে রিকশায় করে যাওয়া যায়। সিএনজি অটোরিকশায় গেলেও মিনিট বিশেকের বেশি লাগার কথা নয়। বলা যায় বাড়ির উঠোনেই টেস্ট খেলতে নামছেন তিনি। যে স্বপ্ন যত্ন করে জমিয়ে রেখেছিলেন এই মাঠে প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে নামার দিনই।
দলসূত্রের যা খবর, সিলেট টেস্টে দুই পেসার খেলালেও মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে নাম থাকবে তার। ওয়েস্ট ইন্ডিজে দলের অন্য পেসারদের বেহাল দশার মাঝেও ৭ উইকেট নিয়েছেন। স্যুয়িং করাতে পারেন, পুরনো বলে বেশ কার্যকর। চোট সমস্যা না থাকলে সিলেটের অভিষেক টেস্টে লোকাল বয় হিসেবে রাহির থাকা তাই নিশ্চিতই।
দেশে মাটিতেই এই প্রথম টেস্ট খেলতে নামবেন রাহি। সেটাও আবার তার নিজে শহরে। সিলেটের অভিষেক টেস্ট বলে উপলক্ষ আরও বিশেষ, ‘এই মাঠে টেস্ট খেলার খুব ইচ্ছা ছিল। যখন এই মাঠে প্রথমবার প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলি তখন ৮টি বা ৯টি উইকেট পেয়েছিলাম। তারপর থেকে প্রতিনিয়ত ইচ্ছা ছিল এই মাঠেই একটা টেস্ট খেলবো। ইচ্ছা পূরণ হবে হয়তো।’
চেনা মাঠ, চেনা পরিবেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পুরো আবহই রাহির পক্ষে। উইকেটে হয়ত পেসারদের জন্য বিশেষ কিছু থাকবে না। কিন্তু অভিজ্ঞতা আছে বলেই দলও তার কাছ থেকে প্রত্যাশা করবে অনেক। প্রতিদান দিতে প্রস্তুত তিনিও, ‘যেহেতু এরকম উইকেটে আমরা ফার্স্ট ক্লাস খেলতেছি। এরকম হয়ে গেছে যে পুরনো বলেই বেশি বোলিং করতে হয়। গত জাতীয় লিগে আমরা পুরনো বলে ভাল বোলিং করেছি। শুধু নতুন বল না পুরনো বল হাতেও দুই-একটা ব্রেক থ্রু দিতে হবে। যে কারণে নতুন বল ও পুরনো বল-দুটি নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
Comments