সেই টেস্টে একশো করতে বাংলাদেশের এগারো জন পন্টিং লাগত!
মাত্র তিন ইনিংস আগের ঘটনা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েই চরম বিব্রতকর অবস্থা হয়েছিল বাংলাদেশের। অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম ইনিংসে সাকিব আল হাসানের দল গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ৪৩ রানে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে সেই তেতো স্মৃতি মনে করিয়ে দিতেই বাংলাদেশের কোচ স্টিভ রোডস জানালেন কতটা কষ্ট ছিল অ্যান্টিগার উইকেটে টিকে থাকা।
বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে প্রথমে টিভি ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান রোডস। সাক্ষাতকার দিয়ে প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে আসতেই মুচকি হেসে বলেন, ‘এতক্ষণ তো সহজ প্রশ্নের জবাব দিলাম, এবার সামলাতে হবে বাউন্সার।’
তাকে অবশ্য কঠিন কোন বাউন্সার সামলাতে হয়নি। বেশ কয়েক টেস্ট থেকেই দলের ব্যাটিংয়ের বেহাল দশা। সেই জানা প্রশ্নের উত্তর দিতেই হতো। কিন্তু অ্যান্টিগায় নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানে গুটিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন যেতেই রোডস আত্মপক্ষ সমর্থন করলেন শক্তভাবে, ‘আমরা অ্যান্টিগাতে বেশ কঠিন উইকেটে খেলেছিলাম। সেখানে মাত্র ৪৩ রানে অলআউট হয়েছি। সেটি ছিল অনেক খারাপ পারফর্মেন্স অবশ্যই। তবে সত্যি কথা বলতে আমাদের যদি ১১ জন রিকি পন্টিং থাকতো তাহলে হয়তো আমরা ১০০ রান করতে পারতাম। এতটাই কঠিন ছিল সেই পিচটি এবং টসও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
ওই ম্যাচ দিয়েই কোচ হিসেবে রোডসের যাত্রা শুরু। তাকে তাই কাঠগড়ায় দাড় করানোর সুযোগই তেমন নেই। তবে নিজে থেকেই দলের সেই অবস্থার পক্ষে ব্যাট করে গেলেন তিনি, ‘এটি ছিল অনেক বেশি কঠিন কন্ডিশন এবং বিশ্বের অনেক সেরা খেলোয়াড়ও সেখানকার উইকেটে গলদঘর্ম হতো। তবে আমি কোন অজুহাত দিচ্ছি না, আমরা আরও ভাল করতে পারতাম। তবে একজন কোচ হিসেবে আমি একজন শিক্ষক এবং আমি সুযোগ দেয়ার পক্ষে। এখন দেখা যাক এই ব্যাটসম্যানেরা কেমন করে। আশা করি তারা শুধু বাংলাদেশেই নয়, বাইরেও ভাল করবে।'
শুধু অ্যান্টিগা বা জ্যামাইকাই নয়। ঘরের মাঠেও এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বেহাল দশা ছিল ব্যাটসম্যানদের।
রোডস তখন কোচ ছিলেন না। ওসব নিয়ে তার উত্তর না দিলেও চলত। কিন্তু ঘূর্ণি পিচ বানিয়ে জেতার চেষ্টা করায় কম রানে গুটিয়ে যাওয়া নিয়েও তিনি দলের ঢাল হিসেবে নিজেকে পেতে দিলেন, 'আপনি যেটি বললেন যে আমরা হোম সিরিজে ভাল করছি না। তবে এরপরেও আমরা কিন্তু অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিলাম। সেটি এই স্পিন কন্ডিশনেই। আপনি খেলবেন তো অবশ্যই জয়ের জন্যই। ইংল্যান্ডে বিপক্ষে ম্যাচটির ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার হয়েছে। আপনি জয়ের জন্যই খেলবেন। দিন শেষে আপনি কেমন খেলেছেন তার থেকেও বড় ব্যাপার হল আপনি জয় পেয়েছেন। ’
Comments