বাংলাদেশের স্লিপ ফিল্ডাররা ‘হতভাগা’

টপাটপ স্লিপে যাচ্ছে সহজ কিংবা কঠিন ক্যাচ, কিন্তু তা জমাতে পারছেন না বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। দেশের বাইরে তো বটেই টেস্টে দেশেও দেখা যায় এমন নিয়মিত দৃশ্য। হাত ফসকে ক্যাচ বেরিয়ে যাওয়ায় স্লিপ ফিল্ডারদের অবশ্য দোষ দেখছেন না বাংলাদেশের কোচ স্টিভ রোডস। এইজন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের অনভ্যাসকে দায়ী করলেন তিনি।
Slip Fielding Practice Bangladesh
স্লিপ ফিল্ডিংয়ের অনুশীলনে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার সিলেটে। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টপাটপ স্লিপে যাচ্ছে সহজ কিংবা কঠিন ক্যাচ, কিন্তু তা জমাতে পারছেন না বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। দেশের বাইরে তো বটেই টেস্টে দেশেও দেখা যায় এমন নিয়মিত দৃশ্য। হাত ফসকে ক্যাচ বেরিয়ে যাওয়ায় স্লিপ ফিল্ডারদের অবশ্য দোষ দেখছেন না বাংলাদেশের কোচ স্টিভ রোডস। এইজন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের অনভ্যাসকে দায়ী করলেন তিনি।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের উইকেট পেস বান্ধব হওয়ার সম্ভাবনা সামান্য। তবে একদম ফ্ল্যাট হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। স্লিপ ফিল্ডারদের তাই পরীক্ষা দিতে হবে নিয়মিতই। বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তাই লম্বা সময় নিয়ে স্লিপ ফিল্ডিংয়ের অনুশীলন করান কোচ।

উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের পাশে প্রথম স্লিপে মোহাম্মদ মিঠুন, দ্বিতীয় স্লিপে লিটন দাস আর তৃতীয় স্লিপে ইমরুল কায়েস করেছেন অনুশীলন। তাতে যেন ম্যাচের ছবিটাও কিছুটা পরিস্কার। 

অনুশীলন শেষে এই স্লিপ ফিল্ডারদের জন্য বরং সমবেদনা রোডসের কন্ঠে, ‘বাংলাদেশের স্লিপ ফিল্ডারদের জন্য আমি তীব্র দুঃখ অনুভব করছি। ঘরোয়া ক্রিকেটে যেরকম ফ্লাট উইকেটে খেলা হয় সেখানে তো স্লিপ ফিল্ডারই লাগে না। স্পিনাররাই বেশি বল করে। এই কারণে তাদের (স্লিপ ফিল্ডার) তো অনুশীলনই হয় না। স্লিপ ফিল্ডিংয়ের কোন রকম অভ্যাস ছাড়াই তাদের নেমে যেতে হয় টেস্টে।’

দেশে তাও যেমন তেমন, দেশের বাইরে গেলে তো স্লিপ ফিল্ডিং মহা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। তাই অভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই কোচের হাতে, ‘যখন আমরা দেশের বাইরে যাই, তখন স্লিপে ক্যাচ নেওয়ার দরকার হয় অনেক। এটা সহজ না। এতে সিদ্ধহস্ত হতে প্রচুর অনুশীলন দরকার।’

এই জায়গায় যে একদমই যে আলো নেই, তাও না। দলের তরুণদের কাছ থেকেই কোচ পাচ্ছেন স্লিপে ভালো করার আভাস, ‘আমি দেখছি ছেলেরা এই জায়গায় ভাল করছে। কেউ কেউ খুব সাহসের সঙ্গে এগিয়ে আসছে। লিটন এই জায়গায় আসলেই দুর্দান্ত। সে অসাধারণ ফিল্ডার। মিঠুনও ভাল করছে। শান্ত স্লিপে ক্যাচ নিতে পারে। ইমরুল ও মিরাজও আছে স্লিপের জন্য। এখন অনেকেই আছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago