অধিনায়কত্ব নাড়িয়ে দেয় মাহমুদউল্লাহকে

Mahmudullah
সিলেটে অনুশীলনে মাহমুদউল্লাহ। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

চাপের মধ্যে ভালো করার জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেটে বেশ নামডাক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। বরাবরই চাপ নিতে ভালোবাসেন। সামনে কোনও চ্যালেঞ্জ থাকলেই তার মধ্যে জেগে উঠে দেখিয়ে দেওয়ার তাড়না। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের চোটে আরও একটি সিরিজে অধিনায়কত্ব করার আগে বললেন, দায়িত্বই নাড়িয়ে দেয় তাকে।

ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব পান সাকিব। কিন্তু চোটে পড়ে ওই সিরিজেই খেলতে পারেননি তিনি। দুই ফরম্যাটেই তাই অধিনায়কত্ব করতে হয়েছিল মাহমুদউল্লাহকে। নিদহাস কাপ ও আফগানিস্তান সিরিজে টি-টোয়েন্টিতে ফেরেন সাকিব। টেস্ট অধিনায়কত্বে ফেরেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেই। তারপর আবার পড়েছে ছেদ। চোটে বাইরে থাকা সাকিবের জায়গায় জিম্বাবুয়ে সিরিজেও দায়িত্ব মাহমুদউল্লাহর, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিরতি সিরিজেও থাকবে তাই।

মূল অধিনায়কের চেয়ে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কেই বেশি টানতে হচ্ছে দলের ভার। শুক্রবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কথায় বারবার ঘুরেফিরে আসল এই অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গই। দায়িত্ব যে তার কাছে জেগে উঠার মন্ত্র ফের মনে করিয়ে দিলেন তা, ‘অধিনায়কত্ব সবসময় আমাকে ভালভাবে নাড়া দেয়। আগেই বলেছি এই দায়িত্বটা আমি সবসময় উপভোগ করার চেষ্টা করি। দলের সবাই কমবেশি সাহায্য করে। এখন ভাল খেলার অপেক্ষায় আছি। ’

এমনিতে যেমন তেমন। কিন্তু অধিনায়কত্ব পেলে মাঠে বদলে যায় মাহমুদউল্লাহর শরীরী ভাষা। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রাইম ব্যাংক বা খুলনা টাইটান্সের অধিনায়কত্বের ঝলক দেখা গেছে অনেকবার। মাহমুদউল্লাহ ভেবে দেখেছেন অধিনায়কত্ব ইতিবাচক প্রভাব ফেলে তার খেলাতেও,  ‘এটা ঠিক যে অধিনায়কত্ব আমাকে খেলায় বাড়তি চ্যালেঞ্জ দেয়, প্রভাবিত করে এবং বাড়তি দায়িত্ব এনে দেয় যে আমি যেন আমার সেরাটা দলের জন্য দিতে পারি। এ দায়িত্বটা আসলে উপভোগ করি এবং চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে পছন্দ করি। আমার মনে হয় এটা আমার খেলায়ও সাহায্য করে।’

আগের দিন সাকিব আল হাসান আর মাশরাফি মর্তুজার অধিনায়কত্বের প্রশংসা করেছিলেন কোচ স্টিভ রোডস। দায়িত্ব নেওয়ার অল্প সময়ে এই কোচ দেখা পাচ্ছেন তৃতীয় অধিনায়কের। মাহমুদউল্লাহ কেমন অধিনায়ক তা দেখা বাকি কোচের, মাহমুদউল্লাহ নিজে অবশ্য তার ধরণ প্রকাশ করতে দ্বিধা করলেন না, ‘আমি সবসময় খেলোয়াড়দের স্বাধীনতা দেওয়ার পক্ষে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রিডম দিলেই যে যার জায়গা থেকে পারফর্ম করার সুযোগটা বেশি থাকে। অনেক সময় অধিনায়কত্বটা গাট ফিলিংয়ের উপর নির্ভর করে। কিন্তু অনেক সময় গাট ফিলিং কাজে নাও লাগতে পারে। আবার পরিস্থিতি অনুযায়ী অধিনায়কত্ব করার ব্যাপারও রয়েছে।’

 

 

Comments

The Daily Star  | English
NCP will not accept delay in Teesta master plan

Won’t accept any implementation delay: Nahid

National Citizen Party Convener Nahid Islam yesterday said his party would not accept any delay or political maneuver over implementing the Teesta master plan.

7h ago