রোনালদো সম্পর্কে হৃদয়স্পর্শী গল্প বললেন দিয়েম্বা-দিয়েম্বা

মুক্ত হস্তে দান করায় জুরি নেই ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর। কার ও বিপদেও সবার আগে এগিয়ে আসেন এ পর্তুগিজ তারকা। অল্প পরিচয়ের কারও ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নন তিনি। সম্প্রতি ইংলিশ গণমাধ্যম দ্য সানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনই একটি হৃদয়স্পর্শী গল্প বললেন রোনালদোর সাবেক সতীর্থ এরিক দিয়েম্বা-দিয়েম্বা।

ডেভিড ব্যাকহামের ঘাটতি পোষাতে ২০০৩ সালে রোনালদোকে স্পোর্টিং লিসবন থেকে সোয়া ১২ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে নিয়ে আসেন সাবেক কোচ আলেক্স ফার্গুসন। একই বছরে সাড়ে ৩ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে ক্যামেরুন তারকা দিয়েম্বা-দিয়েম্বাকে কিনে আনেন।লক্ষ্য রয় কেইনের জায়গা পূরণ।

তবে রোনালদো পারলেও পারেননি দিয়েম্বা-দিয়েম্বা। কোচের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় ১৮ মাস পরেই ২ মিলিয়ন পাউন্ড লসে তাকে এস্টন ভিলায় বেঁচে দেন ফার্গুসন। আর ছয় মৌসুম পর রোনালদো পাড়ি জমান রিয়াল মাদ্রিদে।

রিয়ালে যোগ দেওয়ার পরের বছরেই মা হারান দিয়েম্বা-দিয়েম্বা। দূরত্ব বাড়লেও ঠিকই সাবেক সতীর্থদের খোঁজখবর রেখেছেন রোনালদো। ফোনে সান্ত্বনা দিয়েছেন ক্যামেরুনের এ খেলোয়াড়কে। দিয়েম্বা-দিয়েম্বার ভাষায়, ‘আমার মা ২০১০ সালে মারা যায় এবং তখন সে (রোনালদো) আমার পাশে ছিল। সে তখন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলে। সে আমাকে ফোন করে এবং বলে যদি তোমার আমাকে লাগে, কারও সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করে, তনে আমি আছি।’

সে ঘটনা বলতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন দিয়েম্বা-দিয়েম্বা, ‘সেই মুহূর্ত আমি কখনোই ভুলবো না। আমার খারাপ সময়ে পাশে থাকায় আমি সব সময় তারিফ করবো। সে আমাকে ফুটবল কিট, খাবার যে কোন বিষয়ে সাহায্য করতে চেয়েছে। সে জানে আমি দাতব্য কাজ করে থাকি। সে সবসময় আমাকে সাহায্যের কথা বলেছে। ক্রিস্তিয়ানো দারুণ একজন মানুষ।’

Comments

The Daily Star  | English

10 segments to get 52% of ADP

For the first time, the planning ministry has used a digital budget planning system to categorise spending based on economic codes

10h ago