রাজিনের বিদায়ী ম্যাচে এনামুল জুনিয়রের হ্যাটট্রিক
ম্যাচটা থেকে দল হিসেবে খুব বেশি কিছু পাওয়ার নেই সিলেট বিভাগের। দ্বিতীয় স্তরের তলানিতে থাকায় শেষ রাউন্ডের ফলে প্রথম স্তরের উঠার আশা প্রায় অসম্ভব। তবে দীর্ঘদিনের সংগ্রামী ক্রিকেটার রাজিন সালেহর বিদায়ী ম্যাচ বলেই আলাদা কদর আছে ম্যাচের। সেই ম্যাচে আবার হ্যাটট্রিক করে নিজেকে রাঙিয়েছেন এনামুল হক জুনিয়র।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অভিষেক টেস্টের দিন দুজনেই হাজির হয়েছিলেন। সেদিনই রাজিন দিয়েছিলেন অবসরের ঘোষণা। কক্সবাজারে ফিরে গিয়ে নামার পর দুজনেই দেখাচ্ছেন ব্যাটে-বলে ঝলক। প্রথম ইনিংসে ফিফটি করা রাজিন দ্বিতীয় ইনিংসেও আছেন ফিফটির দিকে।
আর বল হাতে ঝলক দেখালেন এনামুল। বুধবার সকালে তার বোলিং তোপেই ধসে যায় ঢাকা বিভাগের ইনিংস। দিনের প্রথম ওভারের শেষ তিন বলে কোন রান দেওয়ার আগেই তিনি ফেরান তাইবুর রহমান, আব্দুল মজিদ ও নাজমুল হোসেন মিলনকে। এবারের জাতীয় লিগে এটি তৃতীয় হ্যাটট্রিকের ঘটনা।
২৮০ রানে ঢাকার ৯ উইকেট ফেলার পর অবশ্য শেষ উইকেটে অবিশ্বাস্য প্রতিরোধ গড়েন মোশাররফ হোসেন ও শহাদাত হোসেন। দুজনে যোগ করেন আরও ৬৬ রান। ৩৪৬ রানে গুটিয়ে যাওয়া ঢাকার ৫ উইকেট তুলে নেন এনামুল। ৮৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীতে সবচেয়ে বেশি পাঁচ উইকেটের মালিক এই বাঁহাতি স্পিনার।
দ্বিতীয় ইনিংসে ২২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর অলক কাপালীকে নিয়ে নিজের জীবনের শেষ ইনিংসে জুটি গড়েন রাজিন। দুজনের ৭৬ রানের জুটিতে দল কাটায় বিপর্যয়। অলক আউট হলেও দিনশেষে ৪০ রানে অপরাজিত আছেন রাজিন।
দ্বিতীয় স্তরের আরেক ম্যাচ চট্টগ্রামের বিপক্ষে সমান সমান অবস্থা ঢাকা মেট্রোর। প্রথম ইনিংসে মেট্রোর ৩২৮ রানের জবাবে ৩৪৫ রানে থামে চট্টগ্রাম। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ৯৬ রানে তৃতীয় দিন শেষ করেছে ঢাকা মেট্রো।
Comments