জাতীয় লিগের শিরোপা জিতেছে রাজশাহী বিভাগ
মঞ্চটা আগের দিনই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। অপেক্ষা ছিল কেবল সময়ের। বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচ জিততে শেষ দিনে ৮ উইকেট হাতে রেখে ১০২ রান দরকার ছিল রাজশাহীর। আর দুই উইকেট হারিয়ে প্রথম সেশনেই সেই কাজ সেরে ছয় মৌসুম পর শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে জহুরুল ইসলামের দল।
জাতীয় লিগে রাজশাহীর এটি ষষ্ঠ শিরোপা। তারা সর্বশেষ শিরোপা জিতেছিল ২০১১-২০১২ মৌসুমে। শিরোপা জেতায় খুলনার সঙ্গে এখন যৌথভাবে শীর্ষে আছে তারা।
নিজেদের মাঠে ২৮৪ রান তাড়ায় চার উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌছায় রাজশাহী। অপরাজিত সেঞ্চুরি করে দলের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন জুনায়েদ সিদ্দিকি। অধিনায়ক জুহুরুল ইসলামের ব্যাট থেকে এসেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৪ রান।
আগের দিনের দুই অপারাজিত ব্যাটসম্যান জহুরুল ও জুনায়েদই এদিন শেষ করে দেন সব হিসেব নিকেষ। দুজনের ১৪৯ রানের জুটিতেই শেষ হয়ে যায় ফল নিয়ে সব দোলাচল। দলের ২৫২ রানের মাথায় জহুরুল ৬৫ রানে আউট হলেও ম্যাচ তখন রাজশীর মুঠোয়। ৪ রান করে ফরহাদ হোসেন দ্রুত ফিরে যাওয়ার পর সাব্বির রহমানকে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসেন জুনায়েদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বরিশাল ১ম ইনিংস: ৯৭
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ১৬০
বরিশাল ২য় ইনিংস: ১০৫.৩ ওভারে ৩৪৬ (আগের দিন ২৪৬/৬) (শামসুল ৫৬,তানভীর ৩২, সোহাগ ০, কামরুল রাব্বি ১৫, মনির ৬*;ফরহাদ রেজা ৪/৫৯,শফিকুল ০/৪৫, মোহর ৩/৯৪,মুক্তার ১/৪৫,সানজামুল ১/৭০,সাব্বির হোসেন ০/১৩, সাব্বির রহমান ১/৫)
রাজশাহী ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ২৮৪) ৭৬ ওভারে ২৮৪/৪ (মিজানুর ৩০,সাব্বির হোসেন ৪৯,জুনায়েদ ১২০*, জহুরুল ৬৫, ফরহাদ ৪, সাব্বির ৪*; কামরুল রাব্বি ০/৪৩,মনির ০/৬৩, সোহাগ ১/৬৯, নুরুজ্জামান ০/১২, তানভির ২/৬১, মোসাদ্দেক ১/১৭, আল আমিন ০/৭ )।
ফল: রাজশাহী ৬ উইকেটে জয়ী।
জাতীয় লিগ (রোল অব অনার)
মৌসুম |
চ্যাম্পিয়ন |
১৯৯৯-২০০০ (প্রথম শ্রেণির মর্যাদা ছিল না) |
চট্টগ্রাম |
২০০০-২০০১ |
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স |
২০০১-২০০২ |
ঢাকা |
২০০২-২০০৩ |
খুলনা |
২০০৩-২০০৪ |
ঢাকা |
২০০৪-২০০৫ |
ঢাকা |
২০০৫-২০০৬ |
রাজশাহী |
২০০৬-২০০৭ |
ঢাকা |
২০০৭-২০০৮ |
খুলনা |
২০০৮-২০০৯ |
রাজশাহী |
২০০৯-২০১০ |
রাজশাহী |
২০১০-২০১১ |
রাজশাহী |
২০১১-২০১২ |
রাজশাহী |
২০১২-২০১৩ |
খুলনা |
২০১৩-২০১৪ |
ঢাকা |
২০১৪-২০১৫ |
রংপুর |
২০১৫-২০১৬ |
খুলনা |
২০১৬-১৭ |
খুলনা |
২০১৭-১৮ |
খুলনা |
২০১৮-১৯ |
রাজশাহী |
Comments