মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে একমত নন তামিম
জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সিলেট টেস্টে বিশাল ব্যবধানে হারার পর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলেছিলেন, ‘এভাবে টেস্ট খেলার কোন মানে হয় না।’ তবে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের সঙ্গে একমত নন চোটের কারণে দলের বাইরে থাকা তামিম ইকবাল।
টেস্টের বেহাল দশার পর দেশ সেরা এই ওপেনারের অভাব টের পাওয়া গেছে ভীষণভাবে। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে চোট পাওয়ার পর পুনর্বাসনের মধ্যে আছেন তামিম। চোট কাটিয়ে ফিরেছেন অনুশীলনেও। বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে হালকা ব্যাটিং অনুশীলন করেন তিনি। সব ঠিক থাকলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকেই খেলার কথা তামিমের।
ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দেওয়ার পর ওদের কাছে সাড়ে তিনদিনে হারটা এসেছে বড় ধাক্কা হিসেবে। সেই ধাক্কার প্রতিক্রিয়া হিসেবে করা মাহমুদউল্লাহর মন্তব্যে দ্বিমত করলেন তামিম, ‘দেখুন, আমি এতে একমত নই। তবে বাস্তবতা বুঝি। আমরা কখনোই ভাবিনি যে জিম্বাবুয়ের কাছে আমাদের হারতে হবে। আমি নিশ্চিত যে ক্রিকেটাররা বলুন বা দর্শক, বোর্ড, সাংবাদিকরা বলুন, সবাই আশা করেছিল আমরা জিতব। এমন অবস্থায় উল্টো কিছু হলে মানুষ অনেক আঘাত পায়। তারা শকড হয়ে যায়। হতাশ হয়ে পরে পরস্পরকে দোষারোপ করতে থাকে। রিয়াদ ভাইয়ের ঐ মন্তব্যটি সম্ভবত সেখান থেকেই এসেছে। এটাই আমি বিশ্বাস করি।’
তামিম মনে করছেন এই সময়টা আসলে সাময়িক। পরের টেস্টেই ঘুরে দাঁড়িয়ে সব ভুলিয়ে দেবে বাংলাদেশ, ‘আমার কথা বলুন বা উনি, আমরা সবাই জানি যে ক্রিকেটাররা কতটা কষ্ট করছে টেস্ট ফরম্যাটে ভাল করার জন্য। কারণ এটাই হল মূল ক্রিকেট, যে যাই বলুক না কেন। এত কষ্ট করার পরও যখন ফলাফল পাচ্ছি না, তখন কিছু সময় সেটি বেশ হতাশার। তবে এমন একটি সময় আসবে, যখন আমরা ঘুরে দাঁড়াব। একই প্রতিপক্ষ কিংবা অন্য প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আরও ভালো করব।’
ভালো করলে বাহবা, খারাপ করলে নিন্দেমন্দ শুনতে হবে। দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতির এই স্বাভাবিক ধারা জানেন বলেই এমন বিরূপ পরিস্থিতিতে ভড়কাচ্ছেন না তামিমরা, ‘এখন খুবই সাধারণ বিষয় যে মানুষ সমালোচনা করবে, পেছনে কথা বলবে। খুব ভাল করে জানি যে আমরা যখন আবার একটি সিরিজে ভাল খেলব, তখন এই মানুষজনই আমাদের বাহবা দিবে। এটাই পেশাদার ক্রিকেটের একটি অংশ। এসব মেনে নেওয়ার জন্য এবং সামনে ভালভাবে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মানসিক দিক থেকে আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী।’
Comments