বাংলাদেশের রানে ফেরায় বাধা মিরপুরের উইকেটও
গত আট টেস্ট ইনিংস থেকে দুশো করতে পারেনি বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের কাছে সিলেট টেস্টে ১৪৩ ও ১৬৯ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ব্যাটিংয়ের কঙ্কালই যেন বেরিয়ে গেছে আরও। মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্ট জেতার পাশাপাশি তাই বাংলাদেশের দরকার ব্যাটিংয়েও আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া। কিন্তু এই মাঠের অননুমেয় উইকেটের কারণে জোর গলা নেই খোদ অধিনায়ক মাহমদুউল্লাহর।
২০১৫ সালে সর্বশেষ মিরপুরে পাঁচশোর বেশি একটি দলীয় ইনিংস এসেছিল পাকিস্তানের কাছ থেকে। এরপর হওয়া চার টেস্টে কোন দলই একবারও ছুঁতে পারেনি তিনশো রান। এই বল লাফায় তো এই হয়ে যায় নিচু আর টার্ন তো আছেই। মিরপুরের উইকেট এমনই আচরণ করে যে, এখানে সব সময় খেলেও এর ভাষা বুঝতে পারে না বাংলাদেশ। টেস্ট শুরুর আগের দিন তাই অধিনায়কের কণ্ঠেও ঝরল অসহায়ত্ব, ‘আমার সঙ্গে সবাই একমত হবেন, মিরপুরের উইকেট সবসময়ই একটু আনপ্রেডিক্টেবল থাকে। আপনি যেটা প্রত্যাশা করবেন, সেটা না হলে আপনাকে মানিয়ে নিতে হবে। আমরা এই ম্যাচে যাচ্ছি মাথা শূন্য করে। পিচ কন্ডিশন যেমন হবে সেই অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করব।’
মিরপুরের মন্থর উইকেটে রান পেতে কিছু পরিকল্পনা ঠিক করে রেখেছে বাংলাদেশ। আপাতত কঠিন উইকেটে মাথা খাটিয়ে টিকে থাকতে চান মাহমুদউল্লাহরা, ‘এটা সবসময়ই কঠিন, উইকেট একটু মন্থর। মন্থর উইকেট হলে রান করা একটু কঠিন হয়। কষ্ট করে রান করতে হবে। এখানকার উইকেট এমন না যে বল ব্যাটে আসবে আর আপনি শট খেলতে পারবেন। খুব সেন্সেবলি খেলতে হবে। একেক বোলারের জন্য একেক শট খেলতে হবে, আপনার শক্তি অনুযায়ী। এখন অপেক্ষা আমরা নিজেরা কিভাবে নিজেদের কিভাবে নিজেদের কাজে লাগাই।’
‘কিছু কিছু জিনিস আমরা আগেই ঠিক করেছি, আমরা সেগুলো করব না। একই সাথে আমাদের শটস গুলোও, যার যার যেই স্ট্রং জোনে শট থাকে, সেগুলো সেনসবলি যদি আমরা খেলতে পারি, তাহলে পারফর্মেন্সের দেখা পারব। এই জিনিস গুলোই আমাদের মাথায় কাজ করছে।’
Comments