মোহাম্মদপুরে নিহতের ঘটনায় যুবলীগ নেতার জামিন
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শনিবার আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় দুই কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পেয়েছেন।
আদাবার থানা যুবলীগের আহ্বায়ক আরিফুর রহমান তুহিনকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। নিহত এক কিশোরের বাবা দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় মামলা করার পর তাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
গতকাল পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চায়। কিন্তু মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জামিন দেন।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মির জানান, শনিবারের ঘটনার পর যে মামলা হয় তাতে ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে অভিযুক্তদের কারও নাম উল্লেখ ছিল না।
এদিকে নিহত দুই কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকেই অভিযোগ করে বলা হয়েছে, ক্ষতিপূরণ নিয়ে ঘটনাটি মিটিয়ে ফেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তাদেরকে।
শনিবার নবোদয় হাউজিংয়ের লোহার গেট এলাকায় তুহিনের অনুসারীরা একটি পিক-আপ ভ্যানকে ধাওয়া করে বলে অভিযোগ রয়েছে। পিক-আপ ভ্যানটি দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সময় মোহাম্মদ সুজন ও আরিফ হোসেন নামের তুই কিশোর এর নিচে চাপা পড়ে নিহত হয়। এদের মধ্যে সুজন রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে ও আরিফ প্রিন্টিং প্রেসে কাজ করত।
সেদিনই শম্পা মার্কেট, সুনিবিড় হাউজিং, আদাবর ১০ ও ১২ নম্বর এলাকায় আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ হাতুড়ি, ধারালো অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সাদেক খানের সমর্থকদের ওপর হামলা চালালে ২৫ জন আহত হন। তার সমর্থক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাদেক খান গাড়িবহর নিয়ে মনোনয়ন ফরম কিনতে যাওয়ার সময় এই হামলা হয়।
সাদেকের সমর্থকদের অভিযোগ, হামলাকারীরা তুহিনের লোক। ওই এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জাহাঙ্গীর কবির নানকের অনুসারী তুহিন। তবে নানক ও তুহিন দুজনেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এর আগে নানকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছিলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
তবে দলটির অনেক নেতাই অভিযোগ করে বলেছেন, নিহত দুজনই আওয়ামী লীগের সমর্থক। তারা সাদেক খানের গাড়িবহরে যোগ দিতে যাচ্ছিল। সাদেক খানের সঙ্গে থাকার জন্য তাদের প্রত্যেককে ৩০০ করে টাকা দেওয়া হয়েছিল।
Comments