তাইজুলের ঘূর্ণিতে ২১৮ রানের লিড বাংলাদেশের
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/bd_9.jpg?itok=MWXcxk1Q×tamp=1542950054)
ব্রান্ডন টেইলর ও পিটার মুর যখন ব্যাট করছিলেন তখন মনে হয়েছিল ফলোঅন তো এড়াবেনই এমনকি লিডও অসম্ভব নয়। কারণ একের পর এক ক্যাচ যে মিস করছিলেন টাইগার ফিল্ডাররা। কিন্তু বল হাতে নিয়ে প্রথম ওভারেই মুরকে আউট করেন আরিফুল। এরপরই পাশা যায় বদলে। দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে ৩০৪ রানে অলআউট করে দেয় দলটিকে। ফলে ২১৮ রানের লিড পায় বাংলাদেশ।
এদিন দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তাইজুল ইসলাম। বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে টানা তিন ইনিংসে পাঁচ উইকেট কিংবা তার বেশি শিকারের অনন্য রেকর্ড গড়েন তাইজুল। এর আগে এ কীর্তি গড়েছেন এনামুল হক জুনিয়র ও সাকিব আল হাসান। মেহেদী হাসান মিরাজ নেন তিন উইকেট।
তবে এদিন দারুণ এক সেঞ্চুরি করে দলকে টেনে নিয়েছেন ব্রান্ডন টেইলর। ক্যারিয়ারের পাঁচ টেস্ট সেঞ্চুরির চারটিই এলো বাংলাদেশের বিপক্ষে। তবে বাংলাদেশের মাটিতে এবারই প্রথম। ১১০ রানের ঝকঝকে ইনিংস শেষ হয় মিরাজের আঘাতে। দারুণ ব্যাট করেছেন পিটার মুরও। ৮৩ রান করেছেন তিনি। এছাড়া ওপেনার ব্রায়ান চারি করেন ৫৩ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৫২২/৬ (ডিক্লে)
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ৩০৪ (১০৫.২ ওভার) (মাসাকাদজা ১৪, চারি ৫৩, টিরিপানো ৮, টেইলর ১১০, উইলিয়ামস ১১, রাজা ০, মুর ৮৩, চাকাভা ১০, মাভুটা ০, জার্ভিস ৯*, চাতারা (আহত অনুপস্থিত); মোস্তাফিজ ০/৫৮, খালেদ ০/৪৮, তাইজুল ৫/১০৭, মিরাজ ৩/৬১, মাহমুদউল্লাহ ০/১৪, আরিফুল ১/১০)।
তাইজুলের পাঁচ উইকেট
আগের ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের করা আগের ওভারেই দুই দুইটি ক্যাচ ফেলেছেন টাইগাররা। প্রথমে মুমিনুল হক পরে মিস করেন মোহাম্মদ মিঠুন। কিন্তু টানা তৃতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট তাইজুল ইসলামের ভাগ্যে ছিল বলেই হয়তো তারা মিস করেছেন। পরের ওভারে রেগিস চাকাভাকে শর্ট লেগে মুমিনুল হকের তালুবন্দি করে পঞ্চম শিকারের উল্লাসে মাতেন তাইজুল।
মাভুটাকেও ফিরিয়েছেন মিরাজ
সেঞ্চুরিয়ান টেইলরকে ফেরানোর দুই বল পর আবার আঘাত হেনেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এবার টেন্ডাই মাভুটাকে ফিরিয়েছেন এ স্পিনার। স্লিপে দারুণ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন আরিফুল হক। ২ বল খেলে কোন রান করতে পারেননি মাভুটা। ফলে বড় বিপদেই পড়েছে জিম্বাবুয়ে। ফলোঅন এড়াতে এখনও প্রয়োজন ৩২ রান।
৯৯ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৯১ রান। রেগিস চাকাভা ৫ রানে উইকেটে আছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন কাইল জার্ভিস।
টেইলরকে ফেরালেন মিরাজ
দারুণ এক সেঞ্চুরিতে ফলোঅন এড়ানোর স্বপ্ন দেখেছিল জিম্বাবুয়ে। তবে সে স্বপ্নে আঘাত হেনেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ফিরিয়ে দিয়েছেন সেট এ ব্যাটসম্যানকে। তবে তাতে দারুণ কৃতিত্ব রয়েছে তাইজুল ইসলামের। স্কয়ার লেগ ও মিডউইকেটের মাঝে দুর্দান্ত ক্যাচ লুফে নিয়েছেন তিনি। ১৯৪ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ১১০ রানের ইনিংস খেলেছেন টেইলর।
টেইলরের সেঞ্চুরি
ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ব্র্যান্ডন টেইলর। ১৮৮ বলে ৮ চারে এই মাইলফলকে পৌঁছান ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। পিটার মুরের আউটের পর রেজিস চাকাভাকে নিয়ে দিন পার করার চেষ্টায় আছেন তিনি। টেইলরের সেঞ্চুরির সময় জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ২৭৬ রান।
বল হাতে নিয়েই জুটি ভাঙলেন আরিফুল
পিটার মুরকে জীবন দিলেন নাজমুল ইসলাম অপু আর ব্রান্ডন টেইলরকে দিলেন মুশফিকুর রহীম। তাতে ক্রমেই যেন বাংলাদেশের কাছ থেকে ম্যাচটা নিজেদের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল জিম্বাবুয়ের ষষ্ঠ উইকেট জুটি। দুই জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানই যেন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন। তবে সে জুটি ভেঙেছেন আগের টেস্টে অভিষেক হওয়া আরিফুল হক। আউট করেছেন পিটার মুরকে। তার বিদায়ে ভাঙে ১৩৯ রানের জুটি।
আরিফুলের বলে পা বাড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মুর। ব্যাটে না লেগে লাগে প্যাডে। টাইগারদের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। পরে অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন মুর। কিন্তু লাভ হয়নি। ফলে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি বিলম্বিত হলো এ জিম্বাবুইয়ানের। ১১৪ বলে ১২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৮৪ রান করেছেন মুর।
৯৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৭৪ রান। ৯৯ রানে ব্যাট করছেন ব্রান্ডন টেইলর। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন রেগিস চাকাভা।
মুর-টেইলর জুটিতে শতরান
১৩১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া জিম্বাবুয়ে দলের হাল পিটার মুরকে নিয়ে ধরেছিলেন ব্রান্ডন টেইলর। এরপর সে চাপ সামলেছেন তো বটেই। দারুণ এক জুটি গড়ে ফলোঅন এড়ানোর স্বপ্ন দেখছে দলটি। এর মধ্যেই এ দুই ব্যাটসম্যান শতরানের জুটি গড়েছেন। সৈয়দ খালেদ আহমেদের বলে কাভার দিয়ে সিমানা পার করে জুটির পঞ্চাশ রান করেন মুর। ১৭২ বলে আসে এ জুটির শতরান।
৮৪ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ে দলের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৩৬ রান। টেইলর ৮০ ও মুর ৬৪ রানে ব্যাট করছেন।
মুরের হাফসেঞ্চুরি
দারুণ হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন পিটার মুর। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এক্সট্রা কাভার দিয়ে বল সীমানার বাইরে পাঠিয়ে ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। ৮১ বলে ফিফটি স্পর্শ করা এ ব্যাটসম্যান ৮টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
৮০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২১২ রান। টেইলর ৬৭ এবং মুর ৫৩ রানে ব্যাট করছেন।
দ্বিতীয় সেশনেও দুই উইকেট টাইগারদের
প্রথম সেশনের মতো দ্বিতীয় সেশনেও দুই উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। দুটি উইকেটই পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম। তবে জিম্বাবুয়ের জন্য আশার খবর ১৩১ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর দলের হাল পিটার মুরকে নিয়ে ধরেছেন সাবেক অধিনায়ক ব্রান্ডন টেইলর। এর মধ্যেই তাদের জুটিতে এসেছে ৬৪ রান।
চা বিরতির আগে ৭৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৯৫ রান। টেইলর ৫৯ এবং মুর ৪৪ রানে ব্যাট করছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
তৃতীয় চা বিরতি পর্যন্ত
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৫২২/৬ (ডিক্লে)।
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ১৯৫/৫ (৭৩ ওভার) (মাসাকাদজা ১৪, চারি ৫৩, টিরিপানো ৮, টেইলর ব্যাটিং ৫৯, উইলিয়ামস ১১, রাজা ০, মুর ব্যাটিং ৪৪; মোস্তাফিজ ০/৩০, খালেদ ০/৩৭, তাইজুল ৪/৭২, মিরাজ ১/৩৬, মাহমুদউল্লাহ ০/১৪)।
টেইলর-মুর জুটিতে পঞ্চাশ
১৩১ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া জিম্বাবুয়ে দলের হাল পিটার মুরকে নিয়ে ধরেছেন সাবেক অধিনায়ক ব্রান্ডন টেইলর। এর মধ্যেই এ জুটিতে এসেছে পঞ্চাশ রান। মাহমুদউল্লাহ বলে দারুণ এক ছক্কা হাকিয়ে এ জুটির পঞ্চাশ রান পার করেন মুর। ৮৯ বলে আসে জুটির পঞ্চাশ রান।
৭০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৮৭ রান। টেইলর ৫৬ ও মুর ৩৯ রানে ব্যাট করছেন।
টেইলরের ফিফটি
চাপের মুখে ব্যাট করে দারুণ এক হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ব্রান্ডন টেইলর। সৈয়দ খালেদ আহমেদের বলে পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ টেস্ট ফিফটি তুলে নেন এ ব্যাটসম্যান। ১০৭ বলে ফিফটি স্পর্শ করা টেইলর এ রান করতে চার মেরেছেন চারটি।
৬৮ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৭০ রান। টেইলর ৫১ এবং পিটার মুর ২৭ রানে ব্যাট করছেন।
রাজাকে খালি হাতে ফেরালেন তাইজুল
দুর্দান্ত ছন্দে আছেন তাইজুল ইসলাম। সিলেটে ১১ উইকেট তুলে নেওয়ার পর মিরপুর টেস্টেও রুদ্ররূপ দারুণ করেছেন তিনি। জিম্বাবুয়ে শিবিরে চতুর্থ আঘাত করেছেন এ বাঁহাতি। সিকান্দার রাজাকে বোল্ড করে দিয়েছেন। উইলিয়ামসের মতো রাজাও রক্ষণাত্মক ভঙ্গীতে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেন। ১২ বল খেলে কোন রান করতে পারেননি রাজা।
৫৫ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৩১ রান। ৪০ রান নিয়ে ব্যাট করছেন ব্রান্ডন টেইলর। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন পিটার মুর।
উইলিয়ামসকে ফেরালেন তাইজুল
ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর সিলেট টেস্টেও দারুণ খেলেছিলেন শেন উইলিয়ামস। এদিনও ব্রান্ডন টেইলরের সঙ্গে ছোট্ট জুটিতে এমন কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। তবে তাকে দ্রুতই ফিরিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। পা বাড়িয়ে রক্ষণাত্মক ঢঙে ব্যাট করতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন এ ব্যাটসম্যান। ২৮ বলে ১১ রান করেছেন তিনি।
৫১ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১২৯ রান। ৩৮ রান নিয়ে ব্যাট করছেন টেইলর। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন সিকান্দার রাজা।
লাঞ্চের আগে দুই উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ
লাঞ্চের আগে দুই উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে দিনের শুরুটা ভালোই করেছিলে জিম্বাবুয়ে। নাইটওয়াচম্যান ডোনাল্ড টিরিপানোকে নিয়ে ব্রায়ান চারির জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তারা। তাইজুলের আঘাতে এ জুটি ভাঙার পর টেইলরকে দারুণ এক জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামলে নিয়েছিলেন চারি। তবে এ জুটি ভেঙেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
লাঞ্চের আগে ৪৪ ওভারে ৩ উইকেটে ১০০ রান করেছে জিম্বাবুয়ে। টেইলর ১৯ ও শেন উইলিয়ামস ১ রানে ব্যাট করছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
তৃতীয় দিন লাঞ্চ পর্যন্ত
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৫২২/৬ (ডিক্লে)
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ১০০/৩ (৪৪ ওভার) (মাসাকাদজা ১৪, চারি ৫৩, টিরিপানো ৮, টেইলর ব্যাটিং ১৯, উইলিয়ামস ব্যাটিং ১; মোস্তাফিজ ০/২৪, খালেদ ০/২৩, তাইজুল ২/৩৫, মিরাজ ১/১৩)।
রিভিউ নিয়ে চারিকে ফেরালেন মিরাজ
আগের বলেই অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর হাতে সহজ জীবন পেয়েছিলেন ব্রায়ান চারি। কিন্তু সে জীবন কাজে লাগাতে পারেননি এ ওপেনার। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে শর্ট লেগে মুমিনুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। তবে শুরুতে টাইগারদের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে সাফল্য পায় বাংলাদেশ। রিপ্লেতে দেখা যায় মুমিনুল হাতে লাগার আগে বল প্রথমে চারির প্যাডে লেগে গ্লাভসের হালকা চুমু খেয়ে যায়। ১২৮ বলে ৫৩ রান করেছেন চারি।
৪২ ওভারে জিমাবুয়ের সংগ্রহ ৩ উইকেরে ৯৬ রান। ১৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন ব্রান্ডন টেইলর। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন শেন উইলিয়ামস।
চারি-টেইলর জুটিতে পঞ্চাশ রান
৪০ রানে দুই উইকেট হারানো দলের হাল ব্রান্ডন টেইলর নিয়ে ধরেছেন ব্রায়ান চারি। এর মধ্যেই পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েছেন তারা। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে সুইপ করে দুই রান নিয়ে জুটির ফিফটি স্পর্শ করেন টেইলর। ৬৪ বলে আসে এ জুটির পঞ্চাশ রান।
৪০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৯৫ রান। চারি ৫২ ও টেইলর ১৬ রানে উইকেটে আছেন।
চারির হাফসেঞ্চুরি
শুরু থেকে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করছেন ব্রায়ান চারি। এক প্রান্ত আগলে রেখে তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। ৪০ রানে থাকা অবস্থায় তাইজুল ইসলামের এক ওভারে তিনটি চার মেরে নিজের হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছান এ ব্যাটসম্যান। ১১১ বলে নিজের ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি।
৩৭ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৮৫ রান। চারি ৫২ ও ব্রান্ডন টেইলর ৬ রানে ব্যাট করছেন।
টিরিপানোকে ফেরালেন তাইজুল
সিলেট টেস্টে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন তাইজুল ইসলাম। দেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে তুলে নিয়েছিলেন ১০ উইকেট। সে ধারাটা ধরে রেখেছেন এ স্পিনার। আগের দিন ওপেনিং জুটি ভাঙার পর এদিনও ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন তিনিই। নাইটওয়াচম্যান ডোনাল্ড টিরিপানোকে ফিরিয়েছেন এ বাঁহাতি স্পিনার।
তাইজুলের বলটি পা বাড়িয়ে রক্ষণাত্মক ঢঙেই খেলতে চেয়েছিলেন টিরিপানো। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে যায় স্লিপে দাঁড়ানো মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে। আউট হওয়ার আগে অবশ্য তার নিজের কাজটি ভালোভাবেই করেছেন টিরিপানো। ৮ রান করলেও খেলেছেন ৪৬টি বল।
২৯ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪০ রান। ১৭ রান নিয়ে ব্যাটিং করছেন ব্রায়ান চারি। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে এসেছেন ব্রান্ডন টেইলর।
দ্বিতীয় দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৫২২/৬ (ডিঃ) (১৬০ ওভার) (লিটন ৯, ইমরুল ০, মুমিনুল ১৬১, মিঠুন ০, মুশফিক ২১৯*, তাইজুল ৪, মাহমুদউল্লাহ ৩৬, আরিফুল ৪, মিরাজ ৬৮*; জার্ভিস ৫/৭১, চাতারা ১/৩৪, টিরিপানো ১/৬৫, রাজা ০/১১১, উইলিয়ামস ০/৮০, মাভুটা ০/১৩৭, মাসাকাদজা ০/৭)।
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ২৫/১ (১৮ ওভার) (মাসাকাদজা ১৪, চারি ১০*, টিরিপানো ০*; মোস্তাফিজ ০/১১, খালেদ ০/৬, তাইজুল ১/৫, মিরাজ ০/২)।
Comments