চ্যালেঞ্জ মনে করেই নির্বাচনে এসেছি: সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে ঐক্যফ্রন্ট

রাজধানীর একটি হোটেলে শুক্রবার সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। ছবি: স্টার

সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য দেশে উপযুক্ত পরিবেশ নেই বলে মনে করছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। তবে পরিস্থিতি যেমনই দাঁড়াক না কেন শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে দিতে রাজি নয় সরকার বিরোধী নবগঠিত এই রাজনৈতিক জোট।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার এক সপ্তাহ পার হয়ে যাওয়ার পরও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সমসুযোগ তৈরি না হওয়ার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে গতকাল ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘এটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ।’

গতকাল ঢাকায় একটি হোটেলে আয়োজিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই মন্তব্য করেন কামাল।

বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সম্পাদকদের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টার আলোচনায় নির্বাচন নিয়ে নানা প্রসঙ্গ এসেছে। নির্বাচন নিয়ে নানা প্রসঙ্গ উঠে আসে। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

সম্পাদকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্বাচনের মাঠ সমতল নয়। অনেক প্রতিকূলতা আছে। এর পরও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকতে হবে। থাকতে হবে শুধু বিএনপি বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্বার্থে, আগামীর বাংলাদেশের স্বার্থেও। প্রয়োজনে আপনারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবারও যান, যেতে পারেন রাষ্ট্রপতির কাছেও। নির্বাচন কমিশনের কাছে আবারও জানতে চাইতে পারেন, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী বা এমপিদের তারা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন মন্ত্রী- এমপিরা পদে থেকে নির্বাচন করলে আরপিও সংশোধনের দরকার হতে পারে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তেমন কিছু করেনি। কেন করেনি, জানতে চাইতে পারেন নির্বাচন কমিশনারদের কাছে।

একটি সূত্র জানায়, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা অবশ্যই নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকব।’

ফখরুল বলেন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবেই আমরা নির্বাচনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

নির্বাচনকে ড. কামাল চ্যালেঞ্জ আখ্যা দেওয়ার পরই নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, চ্যালেঞ্জ মনে করেই নির্বাচনে এসেছি। জনগণের পক্ষ থেকে যে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে তাতে সমস্ত চ্যালেঞ্জ প্রতিরোধ করা যাবে। আমরা নির্বাচন বর্জন করতে চাই না।

মতবিনিময় সভায় সম্পাদকদের মধ্যে ছিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, ‘প্রথম আলো’-এর মতিউর রহমান, ‘মানবজমিন’–এর মতিউর রহমান চৌধুরী, ‘নিউ এজ’–এর নুরুল কবীর, ‘ঢাকা ট্রিবিউন’–এর জাফর সোবহান, ‘আমাদের নতুন সময়’–এর নাঈমুল ইসলাম খান, অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ২৪ডটকম–এর তৌফিক ইমরোজ খালিদী, ‘সাপ্তাহিক’ –এর গোলাম মোর্তোজা।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দ্য ডেইলি স্টারের প্লানিং এডিটর শাখাওয়াত লিটন, প্রথম আলোর বার্তা সম্পাদক শওকত হোসেন মাসুম এএফপির ব্যুরো প্রধান শফিকুল আলম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের যুগ্ম সম্পাদক আবু তাহের, যুগান্তরের প্রধান প্রতিবেদক মাসুদ করিম, সমকালের প্রধান প্রতিবেদক লোটন একরাম প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Terrorism Act

Govt issues ordinance amending Anti-Terrorism Act

Activities of certain entities, and activities supporting them can now be banned

1h ago