যে কারণে স্কাইপ বন্ধ করা সম্ভব না
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন দেশে স্কাইপ সেবা বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠলেও অনেক জায়গাতেই এটি এখনও চালু আছে। সংশ্লিষ্টদের মতে কয়েকটি কারণে এটি হতে পারে।
প্রথমত: বাংলাদেশে টেলিকম এবং ইন্টারনেট সেবার যে ডায়াগ্রাম বছরের পর বছর ধরে তৈরি হয়েছে তাতে এক নির্দেশে আর কোনো সেবাই বন্ধ করা সম্ভব নয়। দেশে এখন ২৯টি আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে চালু আছে। এর কয়েকটি আবার প্রযুক্তিগতভাবে বিটিআরসি বা সরকারের নির্দেশনা মানার মতো অবস্থাতেই নেই। তাদের সিস্টেমই এটি সমর্থন করে না। ফলে একটা অংশ বন্ধ হওয়া পরও, অনেকেই সেবা পেতেই থাকবেন, যদিও এমন সংখ্যা কম।
দ্বিতীয়ত: এতো এতো বিকল্প ব্যবস্থা গ্রাহকের সামনে আছে যে একটা দরজা বন্ধ করলেও, তার সামনে আরও একশো দরজা খোলাই থাকে। স্কাইপ বন্ধ হলেও খোলা থাকে হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, ইমো, উইচ্যাটসহ আরও অসংখ্য বিকল্প।
তৃতীয়ত: ভিপিএন তো রয়েছেই। ভিপিএন হলো এমন একটি সফটওয়্যার যার মাধ্যমে যে কোনো নিষিদ্ধ সাইটও ব্রাউজ করা সম্ভব। বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ থাকার সময়েও ভিপিএন দিয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহার করা গিয়েছিল।
ইরান এবং চীনে ফেসবুক বন্ধ থাকার পরেও সেখানে এই সেবা কিন্তু চলছেই। এই একই সুবিধা নিয়ে ইরান বা চীনে গেলে বাংলাদেশিরা ফেসবুকে সচল থাকতে পারেন, যদিও ভিপিএন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডিভাইসের নিরাপত্তাবিষয়ক ঝুঁকি থেকে যায়।
ফলে একমাত্র পুরোপুরিভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোনো সেবাই আটকে রাখা সম্ভব হবে না-এমনটা জানেন বিটিআরসির কর্মকর্তারাও।
Comments