পেসারদের দাপটের দিনে মজিদের বীরত্ব
এক প্রান্তে উইকেট পড়ছিল টপাটপ। রান নিতে ব্যাটসম্যানরা খাচ্ছিলেন হিমসিম। চরম বিপর্যয়ের মধ্যেই বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন আব্দুল মজিদ। দলকে বাঁচালেন, নিজে সেঞ্চুরি করে রইলেন অপরাজিত । বিসিএলের প্রথম রাউন্ডে তার এমন দৃঢ়চেতা ব্যাটিংয়ের দিনে শুরুতে টালমাটাল হলেও পরে সামলে নিয়েছে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন।
বুধবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটে পেসারদের জন্য বেশ রসদ ছিল। তা দেখেই টস জিতে প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোনের অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক প্রতিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠান। তার পেসার দলকে পাইয়েও দিয়েছিলেন দারুণ শুরু। কিন্তু মজিদের অনবদ্য ১৪১ রান আর এগারো নম্বর ব্যাটসম্যান শহিদুল ইসলামের ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে ২৮২ করেছে সেন্ট্রাল জোন। জবাবে কোন উইকেট না হারিয়ে ২৯ রান তুলে দিন শেষ করেছে সাউথ জোন।
এবার প্লেয়ার্স ড্রাফটে লিটন দাসকে দলে ভিড়িয়েছিল সেন্ট্রাল জোন। চট্টগ্রাম টেস্টের দল থেকে বাদ পড়ায় এই ওপেনারকে প্রথম ম্যাচেই পেয়েছিল তারা। কিন্তু শুরুতেই হতাশ করেন লিটন। দিনের তৃতীয় বলেই কোন রান না করে শফিউল ইসলামের বলে এলবডব্লিও হয়ে যান। আরেক ওপেনার সাইফ হাসানও হয়েছেন ব্যর্থ। দ্বিতীয় ওভারে তিনিও শূন্য রানেই ফেরেন। দলের রানও তখন শূন্য।
রান পাননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, মার্শাল আইয়ুব, শুভাগত হোম, তাইবুর রহমানরা। এক পর্যায়ে তাই ৭৩ রানে ৬ উইকেট হারায় সেন্ট্রাল। তখন চরম বিপর্যস্ত দলকে একাই টেনে তুলার ভার নেন চারে নামা মজিদ।
সপ্তম উইকেটে মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটির পর ফের পা হড়কানো দল ১৫৮ রানে হারায় নবম উইকেট। এরপর শহিদুলকে নিয়ে অবিস্মরণীয় জুটি মজিদের। শেষ উইকেট জুটিতে দুজনে তুলেন ১২৪ রান। এতে শহিদুলের অবদান ৫৮। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন তিনিই। মজিদ অপরাজিত থেকে গেছেন ১৪১ রানে। ২১৯ বলের ইনিংসে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান মেরেছেন ১৩ চার আর ৫ ছক্কা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন প্রথম ইনিংস : ২৮২/১০ (৭৪.৫ ওভার) (লিটন ০, সাইফ ০, শান্ত ২৩, মজিদ ১৪১*, মার্শাল ৪, শুভাগত ১১, তাইবুর ৩, মোশাররফ ১৯, রবিউল ০, আবু হায়দার ১৩, শহিদুল ৫৮; শফিউল ১/৪৪, আল-আমিন ৩/৬৫, রুবেল ২/৪২, রাজ্জাক ৩/৭০, মেহেদী ১/৫৭)
প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোন প্রথম ইনিংস: ২৯/০ (৫ ওভার) (শাহরিয়ার নাফীস ব্যাটিং ১৫, এনামুল হক ব্যাটিং ৯; আবু হায়দার ০/৭, রবিউল ০/১২, শুভাগত ০/৫)
Comments