নাঈম-তাইজুলের ওই জুটির কারণেই জিততে পারি: মুমিনুল
এখনো খেলার বাকি আছেন অনেক। নানান বাঁক-বদল হবে হয়ত আরও। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন এখনো অনেকেই। প্রথম দিন শেষেই তবু মুমিনুল হকের মনে হচ্ছে তাদের দুই টেল এন্ডার নাঈম হাসান আর তাইজুল ইসলামের নবম উইকেট জুটিই তৈরি করে দিতে পারে ব্যবধান।
প্রথম দুই সেশনে দাপট দেখানো বাংলাদেশ শেষ সেশনে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের পেসে টালমাটাল হয়ে পড়ে। ১৩ রানের ব্যবধানেই হারায় ৪ উইকেট। এক পর্যায়ে ২৫৯ রানে ৮ উইকেট খুইয়ে তিনশোর নিচে অলআউটের শঙ্কা প্রকট হয়েছিল। সেখান থেকেই দিনের বাকি সময় দলকে আর কোন বিপর্যয়ে পড়তে দেননি নাঈম ও তাইজুল।
নয় নম্বরে নামা অভিষিক্ত নাঈম হাসান আর তাইজুল ইসলাম মিলে নবম উইকেটে তুলেছেন মহামূল্যবান ৫৬ রান। সবচেয়ে বড় কথা দিনশেষে অবিচ্ছিন্ন রয়ে গেছেন তারা। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেছে তিনশো। প্রথম দিন থেকে ঘুরতে থাকা উইকেটে যা বেশ চ্যালেঞ্জিং।
ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি করা মুমিনুল তাই সংবাদ সম্মেলনে যেন বোঝালেন তার সেঞ্চুরির থেকেও ভাইটাল ওই জুটি, ‘টেল এন্ডাররা যে রান করেছে, সেটা অনেক বেশি ভাইটাল আমার কাছে মনে হয়। হয়তো এই রানের কারণেই আমরা ম্যাচ জিততে পারি।’
টেল এন্ডারদের এরকম প্রতিরোধ খুব চেনা নয় বাংলাদেশের। মিডল অর্ডার ধসলে বেশিরভাগ সময়েই হাল ছেড়ে দেয় টেল এন্ডার। এদিন দেখা গেল ভিন্ন কিছু।
মুমিনুলের এনে দেওয়া দারুণ দিন হঠাৎ ধসে হয়ে যাচ্ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সেখান থেকে নাঈম-তাইজুলের নিবেদন ম্যাচে রেখেছে বাংলাদেশকে, দিনশেষে তাই আক্ষেপের মাঝেও আশা খুঁজছেন মুমিনুল, ‘আমাদের যদি উইকেট না পড়ত তাহলে আমাদের ৪০০ রান হতো। সেদিক থেকে ওরা কিছুটা এগিয়ে ছিল ( দ্রুত উইকেট পড়ার পর)। শেষের দিকে আমরা মোটামুটি কাভার করেছি। যে অবস্থায় ছিল সেই হিসেবে ওরা (নাঈম-তাইজুল) দুইজন ভালো কাভার করেছে।
৮ উইকেটে ৩১৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইনিংস আর কতদূর যায় নির্ভর করছে এই দুজনের উপরই।
Comments