‘অসম্ভব পরিশ্রমে’ চূড়ায় তাইজুল
জিম্বাবুয়েকে ধসিয়ে দেওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও একই ছন্দে তাইজুল ইসলাম। সাকিব আল হাসান থাকলে তিনি কিছুটা আড়ালে পড়ে যান, সাকিবের অনুপস্থিতিতে নেন স্পিন আক্রমণের মূল দায়িত্ব। এবার সাকিবের সঙ্গেও সমান উজ্জ্বল তিনি। আরেকটি পাঁচ উইকেটে তাইজুল উঠে গেছেন এমন এক চূড়ায় যাতে বাংলাদেশের আর কেউ কখনো পৌঁছাননি।
চলতি বছর ৬ টেস্টের ১১ ইনিংস বল করে তাইজুল ইসলাম নিয়ে নিয়েছেন ৪০ উইকেট। এক পঞ্জিকাবর্ষে টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ায় তিনি ছাড়িয়ে গেছেন মোহাম্মদ রফিককে। ২০০৩ সালে ৬ টেস্টে ৩৩ উইকেট নিয়েছিলেন রফিক। তাইজুলের জন্য অপেক্ষায় আরও বড় কিছু। টেস্টে এই বছর উইকেট নেওয়া সেরা পাঁচ বোলারের একজনও তিনি। সামনে আছে আরও এক টেস্ট। তার সামনে সুযোগ আছে বর্ষসেরা টেস্ট বোলার হওয়ারও।
এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টে ১৮ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হয়েছিলেন তাইজুল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে দারুণ বল করেও পান মাত্র এক উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য তিনি একাই ধসিয়ে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ৩৩ রানে নেন ৬ উইকেট।
টেস্টে ধারাবাহিক তাইজুলের এমন সাফল্যের পেছনে অধিনায়ক সাকিব দেখেন তার কঠোর পরিশ্রমকে, ‘ওর সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে, নিজের বোলিং নিয়ে ও অসম্ভব রকম পরিশ্রম করে। ও প্রথম ইনিংসে একটা উইকেট পেয়েছে, ওর বোলিংয়ের জন্য আমরা ড্রেসিংরুমে ওর অনেক প্রশংসা করেছি। সবাই বলেছি যে, প্রথম ইনিংসে ও-ই আমাদের সেরা বোলার ছিল, যদিও উইকেট পেয়েছে একটা। অনেক সময় হয় এমন যে, একটা বোলার খুব ভালো বোলিং করছে কিন্তু উইকেট পাচ্ছে না।
‘দ্বিতীয় ইনিংসে ও অসাধারণ ভালো বোলিং করছে। আমি চাইব যে, সামনে একটা টেস্ট আছে সেটাতেও যেন ও এই ভাবেই বল করতে পারে। শুধু এক ইনিংস না দুই ইনিংসেই যেন পাঁচটা করে উইকেট পায়।’
Comments