অনেক নার্ভাস ছিলেন সাকিব

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে সাকিব আল হাসানের ফেরাটা ছিল অনেকটা বিস্ময়ের। মাস দেড়েক আগেও আঙুলের চোট যে অবস্থায় ছিল তিনি এখনি ফিরছেন এই প্রত্যাশা ছিল কম। দ্রুত সেরে উঠায় নেন মাঠে নামার সিদ্ধান্ত। তবে অপর্যাপ্ত অনুশীলনের কারণে টেস্ট শুরুর আগের দিনও ছিলেন ভাবনায়। সাকিব বললেন প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামার সময় অনেক স্নায়ুচাপ কাবু করেছিল তাকে।
Shakib Al Hasan
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে সাকিব আল হাসানের ফেরাটা ছিল অনেকটা বিস্ময়ের। মাস দেড়েক আগেও আঙুলের চোট যে অবস্থায় ছিল তিনি এখনি ফিরছেন এই প্রত্যাশা ছিল কম। দ্রুত সেরে উঠায় নেন মাঠে নামার সিদ্ধান্ত। তবে অপর্যাপ্ত অনুশীলনের কারণে টেস্ট শুরুর আগের দিনও ছিলেন ভাবনায়। সাকিব বললেন প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামার সময় অনেক স্নায়ুচাপ কাবু করেছিল তাকে।

প্রথম দিনে বাংলাদেশের ৩ উইকেট পড়ার পর ব্যাট হাত নামেন সাকিব। উইকেটে গিয়ে আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত ব্যাট করেছেন স্বচ্ছন্দেই। এর আগে ড্রেসিংরুমে নাকি নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন তিনি, ‘ড্রেসিং রুমে অনেক নার্ভাস ছিলাম। তবে যখন মাঠে এসেছি তখন যতটা ভেবেছি ততটা নার্ভাস লাগে নি। আর প্রথম বল পুরো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। খুব ভাগ্যবান ছিলাম।’

চোটের কারণে সাকিবের মূল সমস্যা ছিল ব্যাট ধরায়। কড়ে আঙুলে বোলিংয়ে তেমন ব্যবহৃত হয় না বলে বল করতে তেমন অসুবিধা ছিল না। তবে সমস্যা ছিল ফিল্ডিংয়ে। এই টেস্টের অনুশীলন সেশনগুলোতেও ফিল্ডিংয়ে নড়বড়ে দেখা গেছে তাকে।

রান তাড়ায় থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭৬ রানে ৮ উইকেট হারানোর পরও নবম উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে ফেলেছিল। পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়ে কিছুটা চিন্তায় ফেলেছিল। ওই জুটি ভাঙতে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে জোমেল ওয়ারিক্যানের ক্যাচটা যায় সাকিবের কাছেই। সব কিছু মিলিয়ে ওই ক্যাচ নিতে চাপ অনুভব করেছেন অধিনায়ক, ‘চাপ সবথেকে বেশি ছিল শেষ ক্যাচটা। কারণ জুটি হওয়া শুরু হয়েছিল, সবাই দেখি হালকা হালকা প্যানিক হওয়া শুরু করছিল। যদিও আমার কাছে মনে হয় আমি অনেক শান্ত ছিলাম। ওই সময় বল যখন মাথার উপরে ঘুরছিল, তখন ওই জিনিস গুলো মাথায় আসছিল। মনে হচ্ছিলো যদি মিস হয় তখন বাকিরা আরও প্যানিক করবে। তবে সব ঠিকঠাক মত শেষ হয়েছে এটাই আসলে সবথেকে বড় পাওয়া।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago