পুঁচকে এইবারের কাছে পাত্তাই পেল না রিয়াল
জুলেন লোপেতেগিকে ছাঁটাইয়ের পর অন্তর্বর্তীকালীন কোচ সান্তিয়াগো সোলারির অধীনে দারুণ ফুটবলই খেলছিল রিয়াল মাদ্রিদ। টানা চার ম্যাচে জয়। তবে স্থায়ী ভাবে দায়িত্ব পাওয়ার পর মুদ্রার উল্টো দিকও দেখলেন এ কোচ। পুঁচকে এইবারের কাছে পাত্তাই পেল না রিয়াল। প্রতিপক্ষের মাঠে ৩-০ গোলে হেরেছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।
বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও ম্যাচে জোরালো তেমন কোন আক্রমণই করতে পারেনি রিয়াল। মোট ৯টি শট বারপোস্টে নিতে পারে তারা। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৩টি। অপর দিকে ১৪ শটের ৮টি শটই লক্ষ্যে ছিল এইবারের। যার মধ্যে ৩টিতে গোলই পায় দলটি।
ম্যাচের ৩ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো এইবার। কিকে গার্সিয়ার শট রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তুয়াকে পরাস্ত করতে পারলেও পারেনি বারপোস্টকে। বারে লেগে ফিরে আসলে সে যাত্রা বেঁচে যায় রিয়াল।
তবে ১৬ মিনিটে ঠিকই গোল আদায় করে নেয় এইবার। গার্সিয়ার শট গোলরক্ষক কর্তুয়া ঠিকভাবে বিপদমুক্ত করতে পারেননি। পারেননি ডিফেন্ডার দানি সেবাইয়োসও। উল্টো তার শট গঞ্জালো এসকালান্তের পায়ে লেগে বল জালে জড়ালে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল।
৫২তম মিনিটে আবার গোল খায় রিয়াল। তাতে বড় দায় ছিল ডিফেন্ডার আলভারো ওদ্রিওসোলার। তার পা থেকে বল কেড়ে সের্জি এনরিককে পাস দেন মার্ক কুকুরেয়া। বল পেয়ে দারুণ এক কোণাকুণি শটে লক্ষ্যভেদ করেন এ স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
পাঁচ মিনিট পর রিয়ালের জালে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন গার্সিয়া। বাঁ প্রান্ত থেকে কুকুরেয়ার আড়াআড়ি বল এনরিকেরর পায়ে চলে আসে ফাঁকায় দাঁড়ানো গার্সিয়ার কাছে। আলতো টোকায় বল জালে পাঠান এ ফরোয়ার্ড। ফলে বড় হারের স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় রিয়ালকে। ব্যবধান হতে পারতো আরও বড়। ৬১ ও ৭৫ মিনিটে দুটি নিশ্চিত গোল দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক কর্তুয়া।
এ জয়ে ১৩ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সপ্তম স্থানে আছে এইবার। সমান সংখ্যক ম্যাচে ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে তাদের উপরেই আছে রিয়াল। শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট ১২ ম্যাচে ২৪।
Comments