‘অ্যান্টিগায় তো আমরা ভিনগ্রহের কন্ডিশনে খেলেছি’

চট্টগ্রাম টেস্টে টার্নিং উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আড়াইদিনেই হারিয়েছে বাংলাদেশ। স্পিনারদের রাজত্বের ভরা টেস্টের পর কথা উঠেছে উইকেটের আচরণ নিয়ে। তবে বাংলাদেশ দলের কোচ স্টিভ রোডস বলছেন উপমহাদেশে এই ধরণের উইকেটই তো প্রত্যাশিত। বরং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অ্যান্টিগায় তাদের যে উইকেটে খেলতে হয়েছে, সেটাই ছিল একরকম ভিনগ্রহের।
Steve Rhodes
ছবি: রাজীব রায়হান

চট্টগ্রাম টেস্টে টার্নিং উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আড়াইদিনেই হারিয়েছে বাংলাদেশ। স্পিনারদের রাজত্বের ভরা টেস্টের পর কথা উঠেছে উইকেটের আচরণ নিয়ে। তবে বাংলাদেশ দলের কোচ স্টিভ রোডস বলছেন উপমহাদেশে এই ধরণের উইকেটই তো প্রত্যাশিত। বরং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অ্যান্টিগায় তাদের যে উইকেটে খেলতে হয়েছে, সেটাই ছিল একরকম ভিনগ্রহের।

গত জুলাই মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে গতি আর বাউন্সে নাকাল হয়ে যায় বাংলাদেশ। অ্যান্টিগা টেস্টে অলআউট হয় নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন ৪৩ রানে। ফিরতি সফরে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে যন্ত্রণা ফিরিয়ে দিতে এবার স্পিনিং ট্রাকের ফাঁদ সাজিয়ে বসেছে বাংলাদেশ।

চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে দেখা মিলেছে তার মঞ্চায়ন। ক্যারিবিয়ানদের ঘূর্ণি বলে নাচিয়ে ৬৪ রানে টেস্ট জিতেছে সাকিব আল হাসানের দল।

রোববার হোটেল লবিতে বসে বিশ্রামের মধ্যেই চট্টগ্রাম টেস্টের নানা দিক কাঁটাছেড়া করেন বাংলাদেশের কোচ। চট্টগ্রামে যেরকম পিচে খেলা হয়েছে, এটাই উপমহাদেশের ঐতিহ্য মনে করেন তিনি,  ‘আমার মনে হয় উপমহাদেশে সবাই এই ধরণের পিচই প্রত্যাশা করে। এটা কোন চমক না। কলম্বোতেও এরকম টার্নিং উইকেটে ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কার খেলা হচ্ছে। এটা  কেবল ভিন্ন রকমের একটা উইকেট।’

এরপরই কোচ মনে করিয়ে দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে কেমন উইকেটে খেলতে হয়েছিল তাদের, ‘আমি যদি অ্যান্টিগায় ফেরত যাই যেখানে আমরা এক রকম অ্যালিয়েন কন্ডিশনেই খেলেছি। সবুজ এবং বাউন্সি উইকেট ছিল, ডিউক বল অনেক স্যুয়িং করছিল। সেটা একেবারেই আলাদা পিচ ছিল।’

অ্যান্টিগায় ভিনগ্রহের মতো পরিস্থিতি বা চট্টগ্রামের ঘুর্ণি উইকেট। বৈচিত্র্যময় কন্ডিশন বরং রোডসের কাছে ক্রিকেটীয় সৌন্দর্যের , ‘আমার মনে হয় দুনিয়াজুড়ে ঘুরে বৈচিত্র্যময় পরিবেশে খেলার এটাই সৌন্দর্য। টের পাওয়া যায় দারুণ এই খেলাটার অনেক রকমের পথ আছে।’

রান করা কঠিন হলেও চট্টগ্রাম টেস্টের উইকেট ‘আনপ্লেয়েবল’ ছিল না বলেছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার সঙ্গে একমত হয়ে উদাহরণ টেনেই কোচ যোগ করলেন এই পিচে রান পাওয়ার উপায়ও,  ‘যখন কঠিন পিচ পাবেন, তখন বলা যাবে না এটা আনপ্লেয়েবল। সাকিব ঠিক কথাই বলেছে। কিন্তু আপনি যখন আউট হওয়া নিয়ে বেশি চিন্তা করবেন, তখন প্রতি আক্রমণের একটা চিন্তা থাকে। যেটা টেস্টের জন্য অনেকটা তাড়াহুড়ো ব্যাটিং।

‘হেটমায়ারের ব্যাটিং কৌতূহল উদ্দীপক ছিল। সে আমাদের পালটা আক্রমণ করেছে। ও দ্বিতীয় ইনিংসে কি করে দেখতে মুখিয়ে ছিলাম। সে আরও ঘন্টাখানেক ব্যাট করলে বিপদজনক হয়ে যেত। মুমিনুল দারুণ খেলেছে, যেখানে প্রথম দিন থেকেই উইকেটে টার্ন। এই উইকেটেও আসলে রান করা সম্ভব ছিল।’

 

Comments