পুলিশের পাঠানো ই-মেইলে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের তথ্য

সম্ভাব্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ। বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এমন অভিযোগ পাওয়ার মধ্যেই এবার এর প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া গেল। খুলনায় ৭৪ জন সম্ভাব্য নির্বাচনী কর্মকর্তার নামসহ তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের একটি তালিকা ‘ভুলবশত’ স্থানীয় সাংবাদিকের কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

সম্ভাব্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ। বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এমন অভিযোগ পাওয়ার মধ্যেই এবার এর প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া গেল। খুলনায় ৭৪ জন সম্ভাব্য নির্বাচনী কর্মকর্তার নামসহ তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের একটি তালিকা ‘ভুলবশত’ স্থানীয় সাংবাদিকের কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর নিয়মিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে খুলনার হরিণটানা থানা পুলিশের কাছ থেকে সাংবাদিকদের কাছে ওই ই-মেইলটি আসে। এতে দেখা যায়, ৭৪ জন শিক্ষকের মধ্যে ১১ জনকে বিএনপি ও জামায়াত সংশ্লিষ্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া, একজনকে নিরপেক্ষ এবং বাকি সবাইকে আওয়ামী লীগের মতাদর্শী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এসব সম্ভাব্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াও তাদের আরও নানা ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ, তালিকার বিবরণী থেকেই তা স্পষ্ট হওয়া গেছে।

ওই তালিকায় বিএনপি-জামায়াত সমর্থক হিসেবে চিহ্নিত চার জন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছে দ্য ডেইলি স্টার। তারা প্রত্যেকেই হতাশ এবং বিব্রত বলে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় ভাবমূর্তি সঙ্কটে পড়েছেন উল্লেখ করে তারা কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন বলেও জানান।

পুলিশের তালিকায় রায়েরমহল হামিদনগর হাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোল্লা তাজউদ্দিনকে বিএনপি সমর্থক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, ‘২৫ বছর ধরে আমি শিক্ষকতায় যুক্ত, কিন্তু এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হইনি কখনও। আমি সরকারি কর্মকর্তা এবং কখনই কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না।’

একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের প্রেস বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে ওই তালিকাটি সাংবাদিকদের কাছে চলে আসে। তিন পৃষ্ঠার ওই ই-মেইলের প্রথম পৃষ্ঠায় ছিল মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তারের তথ্য এবং পরের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পৃষ্ঠায় টেবিল আকারে ছিল সম্ভাব্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নাম, পরিচয়, কর্মক্ষেত্র, মোবাইল ফোন নম্বর এবং রাজনীতি সংশ্লিষ্টতার তথ্য। এতে দেখা যায়, তারা সবাই স্থানীয় বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষক।

ওই ই-মেইলের তথ্যানুসারে দেখা গেছে, হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মাধ্যমে সম্ভাব্য নির্বাচনী কর্মকর্তা হিসেবে শিক্ষকদের বিবরণ সম্বলিত ওই তালিকাটি খুলনা মহানগর পুলিশের বিশেষ শাখার বিশেষ পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সেখানে হরিণটানার ওসির বরাতে বলা হয়, ‘যথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং কমকর্তাদের তালিকাটি নিম্নে প্রদত্ত।’

হরিণটানা থানার তৎকালীন ওসি নাসিম করিমের (বর্তমানে গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত) সঙ্গে গতকাল যোগাযোগ করা হলে, তিনি এ ধরনের তালিকা সম্বলিত কোনো প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর কথা স্মরণে নেই বলে দাবি করেন।

একই থানার বর্তমান ওসি আশরাফুল আলম বলেন, তিনি যোগ দেওয়ার পূর্বে এই ভুলটি হয়েছিল।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago