এই রায় সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন: মির্জা ফখরুল
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়টি গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপাসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘এই রায় সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন। আগামী নির্বাচনে বিএনপি, ২০ দল ও ঐক্যফ্রন্টকে প্রতিহত করার জন্য সরকারের ইচ্ছায় এ রায় দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে এই রায় জনগণের মাঝে প্রশ্নের উদ্রেক করবে। জনগণ মানবে না। এ রায় জনগণ ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। ঐক্যফ্রন্ট ও নির্বাচন প্রতিহত করতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম নির্বাচনের আগেই খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। কিন্তু সরকার আদালতকে ব্যবহার করে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই এই রায় দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।’
আজ হাইকোর্ট বলেছেন, নিম্ন আদালতে দুই বছরের বেশি সাজা হলে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। দুর্নীতির দায়ে বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়াকে দেওয়া দণ্ড ও সাজা স্থগিত চেয়ে বিএনপির পাঁচ নেতার করা আবেদন খারিজ করে দেওয়া রায়ে আদালত এ কথা বলেন।
তবে আপিল বিভাগ থেকে দণ্ড স্থগিত কিংবা বাতিলের আদেশ এলে ওই ব্যক্তির নির্বাচনে অংশ নিতে কোনো বাধা থাকবে না বলেও উল্লেখ করেন আদালত।
দণ্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন করা বিএনপির পাঁচ নেতা হলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভুঁইয়া, ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. মশিউর রহমান এবং ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সাংসদ এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আবদুল ওহাব।
তবে হাইকোর্টের এই রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আপিলে দণ্ড স্থগিত হলেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।’
Comments