মেসির জাদুতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা

একটি গোল করলেন। অপরটি করালেন। লিওনেল মেসির জাদুকরী নৈপুণ্যেই পিএসভি আইন্দহোভেনের বিপক্ষে কাঙ্ক্ষিত জয় পায় বার্সেলোনা। তবে ভাগ্যটা সঙ্গেই ছিল স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের। তুলনামূলক গোছানো আক্রমণগুলো করেছিল পিএসভিই। এমনকি তিনবার তো বারপোস্টে লেগেই বল ফিরে আসে। তবে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের স্বস্তির জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে এরনেস্তো ভালভারদের দল।

ম্যাচের প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল পিএসভিই। ৪ মিনিটে গ্যাস্টন পেরেইরার ফ্রিকিক ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক মার্ক টের স্টেগান। কর্নার থেকে পাওয়া বলেও সুযোগ ছিল লুক ডি জংয়ের। তার শটও রুখে দেন টের স্টেগান। ১৬ মিনিটে ইভান রাকিতিচের গোলে প্রায় গোল খেয়েই যাচ্ছিল বার্সেলোনা। তবে পেরেইরার শট বারপোস্টে লেগে ফিরে আসলে সে যাত্রা বেঁচে যায় বার্সেলোনা।

২৪ মিনিটে সতীর্থের ক্রস থেকে নেওয়া ডি জংয়ের হেড পেরেইরা ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণে নিতে পারলে তখনই এগিয়ে যেতে পারতো পিএসভি। পেরেইরার শট অল্পের জন্য বারের উপর দিয়ে চলে যায়। ৩৫ মিনিটে গোল পেতে পারতো বার্সাও। কর্নার থেকে পাওয়া বলে দারুণ ভলি করেছিলেন আর্তুরো ভিদাল। গোললাইন থেকে হেড দিয়ে সে বল ফেরান পাবলো রোজারিও। তাতে আবারো কর্নার পায় বার্সা। সেই কর্নার থেকেই দারুণ এক হেড নিয়েছিলেন ভিদাল। এবার সে বল গোললাইন থেকে ফেরান অ্যাঞ্জেলিনো।

তিন মিনিট পর সতীর্থের সঙ্গে দেওয়া নেওয়া করে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৪৪ মিনিটে আবারো বারপোস্ট রক্ষা করে বার্সেলোনাকে। পেরেইরার নেওয়া ফ্রিকিক থেকে দারুণ হেড দিয়েছিলেন ডি জং। তার হেড বারপোস্টে লেগে ফিরে আসলে ফিরতি বলে শট নিয়েছিলেন ডেনজেল ডামফ্রাইস। তার শটও ফিরে আসে বারপোস্টে লেগে। ফলে হতাশা বাড়ে স্বাগতিকদের।

৪৮ মিনিটে মেসির দারুণ শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন পিএসভি গোলরক্ষক জেরোয়েন জোয়েত। ৫৯ মিনিটে গোলরক্ষক টের স্টেগানের ভুলে প্রায় গোল খেয়ে যেতে বসেছিল বার্সা। তবে সে যাত্রা রক্ষা পায় দলটি। ৬১ মিনিটে গোল পায় বার্সেলোনা। উসমান দেম্বেলের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে দারুণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন মেসি।

দুই মিনিট পর দেম্বেলের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক। ৭০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে দলটি। মেসির ফ্রিকিক থেকে আলতো টোকায় দিক বদলে জাল খুঁজে নেন জেরার্দ পিকে। তিন মিনিট পর দেম্বেলের ক্রসে জর্দি আলবা ঠিক ভাবে পা লাগাতে পারলে আরও এগিয়ে যেতে পারতো তারা।

৭৫ মিনিটে সুযোগ ছিল পিএসভিরও। স্টিভেন বের্গউইনের নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। পরের মিনিটেই দিনের সবচেয়ে সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন হার্ভিং লোজানো। গোলরক্ষককে একা পেয়েও সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। পরের মিনিটে ডি জংয়ের হেডও অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

তবে ৮২ মিনিটে তাদের আটকে রাখতে পারেনি কেউ। অ্যাঞ্জেলিনোর ক্রস থেকে দারুণ হেডে জাল খুঁজে নেন ডি জং। শেষ দিকে গোল শোধের আরও বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল পিএসভি। তবে স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় জাল খুঁজে পায়নি তারা। ফলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

এর আগে ন্যু ক্যাম্পে প্রথম লেগের ম্যাচে মেসির হ্যাটট্রিকে ৪-০ গোলে জিতেছিল কাতালান ক্লাবটি। এক ম্যাচ হাতে রেখেই ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রাখল বার্সেলোনা। অপর দিকে মাত্র ১ পয়েন্ট পাওয়া পিএসভি আগেই বিদায় নিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Fund crunch hits Rohingyas hard

A humanitarian crisis in Cox’s Bazar Rohingya camps is brewing in the face of funding shortage for the refugees and more arrivals from the conflict-ridden Rakhine state of Myanmar.

10h ago