যেন বাধিয়ে রাখার মতো স্কোরকার্ড
টেস্টের কোন ইনিংসে এই প্রথম বাংলাদেশের এগারোজনই পৌঁছালেন দুই অঙ্কে। এমন ঘটনা অন্য দলও যে হরহামেশা করে তাও নয়। এর আগে টেস্টে মাত্র ১৩ বার দেখা গেছে এমন কিছু। সবাই দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন, সেঞ্চুরি একজনের, ফিফটি পেরিয়েছেন আরও তিনজন। দলের সংগ্রহ ফুলেফেঁপে উঠা তো তাই স্বাভাবিকই। দ্বিতীয় দিনেই ম্যাচের লাগাম নেওয়ার পর সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কণ্ঠে ব্যাটিংয়ের প্রশংসা।
চট্টগ্রামে জিতলেও ব্যাটিংটা মাথাব্যথার কারণ ছিল বাংলাদেশের। মিরপুরে তাই ব্যাটিংয়ে ভিন্ন অ্যাপ্রোচে নামা ব্যাটসম্যানরা শুরু থেকেই দেখিয়েছেন নিবেদন। সাড়ে পাঁচ সেশন ব্যাট করে সংগ্রহ ৫০৮ রান। সবচেয়ে বেশি ১৩৬ রান করা মাহমুদউল্লাহ দিনশেষে অবদান কেবল নিজের কাছেই রাখলেন না, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানরা অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে। আপনি যদি আমাদের স্কোরকার্ড দেখেন, সবাই ডাবল ফিগারে গিয়েছে। আমার ইনিংসটা একটু বড় হয়েছে, সাকিবের ইনিংসটা বড় হয়েছে। সাদমান খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। আর সবাই স্টার্ট পেয়েছিল।’
সবাই রান পেয়েছেন। তবে তরতরিয়ে বাড়ানো যায়নি রানের চাকা। ৫০৮ রান করতে তাই খেলতে হয়েছে ১৫৪ ওভার। সেদিক থেকে এখানে রান ব্যাটসম্যানদের খাটুনি দেখছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘তারপরও আমি বলবো, উইকেট ওতটা ইজি ছিল না, রান করার দিক থেকে। অনেক ধর্য্য নিয়েই খেলতে হয়েছে। আপনি যদি বেশিরভাগ শট দেখেন, খুব একটা চার হয়নি। বাউন্ডারিও বেশ বড় ছিল, বাউন্ডারিতে পাঠাতে আমাদের বেশ জোরে মারতে হয়েছে। ’
মাহমুদউল্লাহ নাম ধরে ধরে প্রশংসা করেছেন সতীর্থদের, ‘সাকিবের ইনিংসটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল আজ। ওয়েল অ্যাজ সাদমান। শুরুটা ইম্পরট্যান্ট ছিল, সাদমান ব্যাটেড রিয়েল ওয়েল। বুঝাই যায়নি ও প্রথম ম্যাচ খেলছে, মানে খুবই কম্পোজ ছিল।’
‘লিটন খুব ভালো ব্যাটিং করেছে, ও আগের টেস্টে ম্যাচে দলের বাইরে ছিলো। এই টেস্টে এসে খুব ভালো ব্যাট করেছে, খুব ইতিবাচক ব্যাট করেছে। আর আমার মনে হয় এভাবে ব্যাট করাই ওর জন্য সবচেয়ে ভালো ও দলের জন্যও সবচেয়ে ভালো।’
Comments