পরিস্থিতিটা পেসাররা বুঝবে: ওয়ালশ
চট্টগ্রাম টেস্টে কেবল এক পেসার নিয়ে খেলেছিল বাংলাদেশ। পুরো ম্যাচে একমাত্র পেসার মোস্তাফিজুর রহমান তাও বল পেয়েছিলেন মাত্র চার ওভার। ঢাকায় তো ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পেসার ছাড়াই একাদশ নামান সাকিব আল হাসান। দলে পেসার নেই, পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের আর কি কাজ। তিনি পেসারদের নিয়ে টুকটাক সাদা বলের অনুশীলন করেই পার করেছেন দিন। নিশ্চিতভাবেই কাজহীন, গুরুত্বহীন থাকতে কারোরই ভালো লাগার কথা নয়।
মিরপুরে একজন পেসারকেও কি রাখা যেত না? এভাবে গুরুত্বহীন হয়ে যাওয়ায় মানসিকভাবেই বা কি অবস্থা তাদের। ওয়ালশ বিষয়টা দেখছেন দলীয় সাফল্যের মাপকাঠিতে। তার কথা কোন পরিস্থিতিতে কাকে খেলালে ফল মিলবে, সেটাই তো আসল, ‘আমরা এখানে টেস্ট জেতার জন্য খেলেছি। পিচ যেমনই হোক, কম্বিনেশন যাইহোক আসল কথা হলো বাংলাদেশ জিতছে কিনা। আমি এটা নিয়েই খুশি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন প্রভাব বিস্তার করত তারা চার পেসার খেলাত। এখন চার স্পিনার নিয়ে বাংলাদেশ দাপট দেখাচ্ছে। কাজেই এটা একটা ট্রেন্ড। পিচ এখানে পেসার বান্ধব হবে না। কাজেই স্পিনাররাই মুখ্য ভূমিকা নেবে।’
তবে পেসারদের বেকার সময় যে কদিন পরই বদলে যাবে, বেড়ে যাবে কাজের চাপ, গুরুত্ব হয়ে যাবে অত্যধিক। ওয়ালশ মনে করিয়ে দিলেন তাও, যখন আমরা নিউজিল্যান্ডে যাব পেসারদের অনেক সুযোগ আসবে। আমরা ভিন্ন উইকেট পাব। সেখানে পেসাররা সুযোগটা লুফে নেবে।’
ফেব্রুয়ারি মাসে নিউজিল্যান্ডে তিন টেস্ট ম্যাচের লম্বা সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ওয়ালশ মনে করেন দেশ-বিদেশের পরিস্থিতির হিসেব নিকেশ পেসারটা ঠিকই বুঝতে পারবেন, নিজেদের নিংড়ে দিতে তৈরি থাকবেন সেভাবেই, ‘এখন তারা হয়ত বুঝবে, ‘বাংলাদেশে খেলা হলে আমি হয়ত খেলতে নাও পারি কিন্তু বাইরে গেলে একাদশ প্রথম নামই হবে আমার। আশা করছি পেসাররা নিজেদের প্রমাণ করার যথেষ্ট সুযোগ পাবে।’
তবে সুযোগ পেলেই যে পেসাররা বিশাল কিছু করে ফেলেন তেমন নজিরও খুব বেশি নেই। গত জুলাইতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে গতি আর পেসে নাকাল হয়েছিল বাংলাদেশ। অথচ সহায়ক পরিবেশ পেয়েও নিজেদের প্রমাণ করতে পারেননি পেসাররা। এবার এখানেও ভাবনা দেখছেন ওয়ালশ, ‘আমরা বাইরে সফরে গেলে এই সুযোগটা (কন্ডিশনের) নিতে পারিনি, এটা আমার মনে হয় একটা ভাবনার জায়গা। ’
Comments