ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ, তদন্ত কমিটি
রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে আজ (৪ ডিসেম্বর) শিক্ষার্থীরা তাদের এক সহপাঠীর আত্মহত্যার প্রতিবাদ জানায়। সেসময় তাদের অনেকেই প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপালের পদত্যাগও দাবি করে।
এদিকে, শিক্ষকদের অপমানের কারণে এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় রাজধানীর ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রিন্সিপাল নাজনীন ফেরদৌস আজ জানান যে তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।
তিনিই যদি দোষী প্রমাণিত হন তাহলে কী হবে?- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নাজনীন বলেন, “অপরাধী যিনিই হন না কেনো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একজন অভিভাবককে প্রধান করে এবং স্কুলের একজন অভিভাবক সদস্য ও একজন শিক্ষককে নিয়ে তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়াও, আজ সকালে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বেইলি রোডে অবস্থিত ভিকারুননিসা নুন স্কুল পরিদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনায় যারা অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হবেন তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হবে।”
কী ঘটেছিলো ৩ ডিসেম্বর?
পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগে শিক্ষকদের অপমান সইতে না পেরে ভিকারুননিসা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ৩ ডিসেম্বর বাসায় ফিরে আত্মহত্যা করে।
সেই ছাত্রীর বাবা জানান, তাদেরকে স্কুলে ডেকে নেওয়া হয়েছিলো। তাদেরকে বলা হয়, পরীক্ষার সময় তাদের মেয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিলো।
তিনি আরও বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়েটিকে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে দিবে বলে জানায়। এমনকি, তাকে এই অপরাধে টিসি দেওয়া হয়।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শান্তিনগরের বাসায় ফিরে মেয়েটি তার রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। তারপর, গলায় স্কার্ফ পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে বিকাল ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
Comments