আরব আমিরাতের কাছে পাত্তা পেল না বাংলাদেশ

সাদামাটা বোলিং। এরপর ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা। সব মিলিয়ে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের শুরুতেই হেরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি দলটি। ৯৭ রানের বিশাল ব্যবধানেই হেরেছে তারা।

সাদামাটা বোলিং। এরপর ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা। সব মিলিয়ে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের শুরুতেই হেরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি দলটি। ৯৭ রানের বিশাল ব্যবধানেই হেরেছে তারা।

প্রতিপক্ষ জাতীয় দল হলেও কাগজে কলমে শক্তিশালী বাংলাদেশই। অনূর্ধ্ব-২৩ দল হলেও সেখানে আছেন চার জন বয়সী ক্রিকেটার। সেখানে আমিরাতের মতো দলের বিপক্ষে এমন হার দুশ্চিন্তার ভাঁজই ফেলেছে কপালে। আমিরাতের ২৬৮ রানের ছুড়ে দেওয়া লক্ষ্য টপকাতে গিয়ে টাইগাররা করতে পেরেছে মোটে ১৭০ রান।

বৃহস্পতিবার সাউথএন্ড ক্লাব ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে আমিরাত। আশফাক আহমেদকে নিয়ে ১০২ রানের দারুণ জুটিতেই ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেন অধিনায়ক রোহান মুস্তফা। এরপর অধিনায়ক বিদায় নিলেও গুলাম শাব্বেরের সঙ্গে ৫৮ রানের জুটি গড়েন আশফাক। তাতে দলীয় তিনশ রান খুব সহজ মনে হচ্ছিল।

তবে শুরুতে নির্বিষ বোলিং করলেও শেষ দিকে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে পারে বাংলাদেশের বোলাররা। ফলে ২৬৭ রানেই গুটিয়ে দিতে পারে দলটিকে। দারুণ ব্যাট করা আশফাক এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। ৯৮ রানে তাকে থামিয়েছেন খালেদ আহমেদ। ৯৩ বলে ১৬টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। শাব্বেরের ব্যাট থেকে আসে ৫২ রান। ৪০ রান করেন অধিনায়ক মুস্তফা।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে কিছুটা আঁটসাঁট বোলিং করতে পেরেছেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। ৯ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ১টি উইকেট পান তিনি। তবে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন তরুণ শরিফুল ইসলাম। ৫৫ রানের খরচায় পেয়েছেন ৪টি উইকেট। খালেদ পান ৩টি উইকেট।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ২৮ রানেই ওপেনার জাকির হাসানকে হারায় বাংলাদেশ। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে তারা। ফলে গড়ে ওঠেনি বলার মতো কোন জুটি। দলের সেরা দুই ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ফিরেছেন খালি হাতেই। নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে আসে মাত্র ৮ রান। আফিফ হোসেন ছুঁতে পেরেছেন দুই অঙ্কের কোটা। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ১৮ রানেই শেষ। ফলে বড় হার তখন অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ায়।

তবে বাংলাদেশের লজ্জা কিছুটা হলেও কমান শফিউল ইসলাম ও শরিফুল। নয় নম্বরে নেমে শফিউল করেন ৩২ রান আর দশে নামা শরিফুলের ব্যাট থেকে আসে ৩১। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন ওপেনার মিজানুর রহমান। ৩৬.৫ ওভারে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৭০ রানে। আরব আমিরাতের আহমেদ রাজা ও ইমরান হায়দার নিয়েছেন ৪টি করে উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

সংযুক্ত আরব আমিরাত: ৪৯.৪ ওভারে ২৬৭ (মুস্তফা ৪০, আশফাক ৯৮, শাব্বের ৫২, রমিজ ১, শাইমান ৩৪, উসমান ৫, বুতা ১৩, নাভিদ ১২, রাজা ২, ইমরান ৩, কাদির ১*; শফিউল ১/৪৩, খালেদ ৩/৬৫, আফিফ ০/২৬, তানভীর ১/২৫, শরিফুল ৪/৫৫, মোসাদ্দেক ১/৫৩)।

বাংলাদেশ: ৩৬.৫ ওভারে ১৭০ (মিজানুর ৪৩, জাকির ৩, শান্ত ৮, ইয়াসির ২০, মোসাদ্দেক ০, নুরুল ০, আফিফ ১৮, তানভীর ৩, শফিউল ৩২, শরিফুল ৩১*, খালেদ ৬; হায়দার ৪/৩৫, রাজা ৪/৫০, কাদির ১/১৮, নাভিদ ১/২৯)।

ফলাফল: সংযুক্ত আরব আমিরাত ৯৭ রানে জয়ী।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago