পেসারদের নিয়েই মাশরাফি বাজি
দেশের মাঠে টেস্টের বাংলাদেশ আর ওয়ানডের বাংলাদেশের মধ্যে মোটা দাগের তফাত বোলিং আক্রমণে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজই তরতাজা উদাহরণ। প্রথম টেস্টে একমাত্র পেসার হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান মাত্র চার ওভার বোলিং পেয়েছিলেন। পরের টেস্টে তো একাদশে কোন পেসারই রাখেনি বাংলাদেশ। তবে ওয়ানডে নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ হবে ভিন্ন। অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা জানালেন সীমিত ওভারে তার আস্থা পেসারদের উপরই।
মাশরাফি অধিনায়ক হওয়ার পর থেকেই সীমিত ওভারে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ পেস নির্ভর। টেস্টে যেমনই হোক ওয়ানডেতে বোলিং আক্রমণ যে এবারও গতিময়ই হবে তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন অধিনায়ক, ‘আমাদের পেস বোলাররা ভাল ব্যাকআপ করছে। আপনি যদি ২০১৫ থেকে দেখেন, আমরা একটা ছন্দে খেলছি। তিনজন পেস বোলার সব সময় খেলিয়েছি। এমনকি কখনো চারজন খেলানো হচ্ছে। কাজেই টেস্ট ম্যাচের উপর নির্ভর করে আপনি কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারবেন না। আপনি বরাবরের মতই তিনজন পেস বোলার খেলাব। এবং খেলাতে চাই এটা নিশ্চিত। তিনজন ফাস্ট বোলার নিয়ে এমনকি ফ্ল্যাট উইকেটেও আমরা খেলেছি, ভালো করেছি।’
পেসারদের খেলানো ধারাবাহিকতা রাখতে চান অধিনায়ক। কেবল তাই নয় পেসার নির্ভর হওয়ার কারণ আছে আরও দুটি।
রোববার দুপুর ১টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে নামবে বাংলাদেশ। শীতের সময়ে সন্ধ্যার দিকে থাকতে পারে শিশিরের প্রভাব। স্পিনাররা এসব পরিস্থিতি কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে দ্বিধায় অধিনায়ক, ‘শিশির কতটা প্রভাব ফেলবে সেটা কিন্তু অনেক কিছু ম্যাটার করে। আসলে দিন রাতের খেলায় এই সময়ে শিশিরের প্রভাব খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্পিনাররা আসলে কতটুকু সাহায্য পাবে।’
পরের কারণটি ওয়ানডে ফরম্যাটের ধরণ, ফিল্ডিং পজিশন, আর ম্যাচ পরিস্থিতি হিসাব করে বললেন অধিনায়ল, ‘আর ওয়ানডে ক্রিকেটে স্পিনের একটা অসুবিধা আছে কারণ ৪০ ওভার পর্যন্ত পাওয়ার প্লে থাকে। যখন পাঁচটা ফিল্ডার উপরে থাকে তখন স্পিনে মারা খুব সহজ। ফাস্ট বোলিং থাকলে হয় কি আপনি যেকোন এক জায়গা ব্লক করে বল করতে পারেন। স্পিনার আনলেস খুব এক্সট্রা অর্ডিনারি না হলে খুব কঠিন। ওয়ানডেতে ব্যাটসম্যান শটস খেলবে, রান করতে চাইবে প্রতিপক্ষে যেই থাকুক। সাকিব, মিরাজ ভাল করছে, ভাল করছে না তা নয়। তবে আমাদের সাফল্যের হার ফ্ল্যাট উইকেটেও পেস বোলারদের বেশি। কাজেই ওদিকটা খেয়াল রাখা জরুরী।’
Comments