যেভাবে ঘোষিত হলো খালেদা জিয়ার আপিলের রায়

রায় ঘোষণার সময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, আমার রায়, আইনগত বিবেচনায় বেগম খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করার পক্ষে প্রদান করলাম। এসময় খালেদার পক্ষে উপস্থিত আইনজীবীরা উল্লাস করে হাততালি দেন। এসময় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ লাউড স্পিকারে বলতে থাকেন- এটি ফুল কোর্টে রায় নয়।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ফেনী-১, বগুড়া-৬ এবং বগুড়া-৭ আসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের আপিল শুনানির তৃতীয় দিনে আজ (৮ ডিসেম্বর) এই রায় দেওয়া হয়। আপিল শুনানিতে চার-এক ভোটে খালেদার মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।

রায় ঘোষণার সময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, আমার রায়, আইনগত বিবেচনায় বেগম খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করার পক্ষে প্রদান করলাম। খালেদার পক্ষে উপস্থিত আইনজীবীরা তখন উল্লাস করে হাততালি দেন।

এসময় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ লাউড স্পিকারে বলতে থাকেন- এটি ফুল কোর্টের রায় নয়।

নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, যে কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত লোকের মনোনয়ন বিবেচনা করতে পারি না। আমার রায় হলো-এই আপিল মঞ্জুর করা যায় না। নামঞ্জুর করা হলো। এবার আরেক দল হাততালি দেন।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বলেন, সংবিধানের ৬৬ ধারা অনুযায়ী এ আপিল নামঞ্জুর করা হলো।

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, এখন পর্যন্ত দণ্ড বহাল আছে, রিটার্নিং কর্মকর্তার অর্ডারের যে বক্তব্য এবং স্পিরিট দেখছি, দণ্ডপ্রাপ্ত হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত হিসেবে আপিল নামঞ্জুর।

শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, কবিতা খানম এবং রফিকুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেন, দণ্ড বহাল আছে যে বক্তব্য দিয়েছেন, আমি সে প্রেক্ষিতে আপিল নামঞ্জুর করলাম।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ পরে ঘোষণা করেন, পাঁচজন মাননীয় নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে চারজন আপিল আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। একজন মঞ্জুর করেছেন বিধায় চার-এক ভোটে আপিল আবেদন না মঞ্জুর ঘোষণা করা হলো।

খালেদার আপিলের পক্ষের আইনজীবী মাহবুব উদ্দীন খোকন বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার অভিযোগ ছিল-খালেদা জিয়া নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধ করেন নাই। শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার তিনটা আপিল মঞ্জুর করেছেন। খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আর কোনো আইনগত বাধা নাই। গত তিনদিন আমরা দেখেছি, আপিল শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কখনো সিইসি, কখনো অন্যান্য কমিশনাররা রায় ঘোষণা করেছেন। তারা কমিশনের সকলের পক্ষ থেকেই রায় ঘোষণা করেছেন। সবাই ধারণা করেছিল মাহবুব তালুকদারে রায় সবার রায়। এবং সেই রায়ে বেগম খালেদা জিয়ার তিনটি মনোনয়নপত্রই বৈধ করেছেন।

একবার রায় ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর, দ্বিতীয়বার রায় ঘোষণার কোনো সুযোগ নাই। গত তিনদিনের আপনারা দেখেছেন, দ্বিতীয় রায় হয়েছে? নির্বাচন কমিশনের এখানে খালেদা জিয়ার মনোনয়ন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। মাহবুব তালুকদার যে জাজমেন্ট দিয়েছেন সেটা লিগ্যাল জাজমেন্ট, ফেয়ার জাজমেন্ট। আমরা আইনগত দিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে উচ্চ আদালতে যাওয়া যায় কি না, এ বিষয়ে কনভিন্স হলে সিদ্ধান্ত নেব। আমরা বিশ্বাস করি উচ্চ আদালত তার মনোনয়নপত্র বৈধ করবে।

আরও পড়ুন: খালেদার আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে যাবেন

আরও পড়ুন: আপিলেও বাতিল হলো খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র

আরও পড়ুন: ‘খালেদা জিয়া কারাগারে, তিনি কিভাবে আচরণ-বিধি লঙ্ঘন করলেন?’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago