ইনজুরি আরও বেড়েছে মাশরাফির

মাশরাফি বিন মুর্তজা। ছবি: ফিরোজ আহমেদ।

ইনজুরি আর মাশরাফি বিন মুর্তজার নামটা অনেক আগের থেকে সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছে। তাই ইনজুরি নিয়ে খেলাটা নতুন কিছু নয় বাংলাদেশ অধিনায়কের জন্য। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও খেলেছিলেন। রোববার খেললেন উইন্ডিজের বিপক্ষেও। তাও একটি নয় দুটি ইনজুরি নিয়ে খেলেছেন টাইগার অধিনায়ক।

এশিয়াকাপে ক্যাচ নিতে গিয়ে আঙুলে চোট পেয়েছিলেন মাশরাফি। সেই সঙ্গে চোট পান গ্রোয়েনে। তাই নিয়ে জিম্বাবুয়ে সিরিজ খেলেছিলেন। তা পুরোপুরি সেরে ওঠেনি এখনও। তার সঙ্গে দু’দিন আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগে তার। তাও সেরে ওঠেনি। শুরুতে শঙ্কা থাকলেও পরে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় উইন্ডিজের বিপক্ষে খেললেন অধিনায়ক।

শুধু কি খেললেন? সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে একাই ধসিয়ে দিলেন উইন্ডিজের ব্যাটিং লাইন আপ। তবে খারাপ করেননি দলের অন্যান্য বোলাররাও। প্রথম ব্রেক থ্রুটা এনে দিয়েছিলেন সাকিব। এরপর জোড়া ধাক্কা দিয়ে অতিথিদের কোণঠাসা করে দেন অধিনায়ক। এরপর আবার প্রতিপক্ষ অধিনায়ক যখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছিলেন, তাকেও ফেরালেন। ম্যাচ শেষে তার বোলিং ফিগার ১০-০-৩০-৩। আর তাতে মেলে ম্যাচসেরার পুরষ্কারও।

ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সংবাদ সম্মেলনে জানালেন নিজের বর্তমান অবস্থার কথা, ‘আমি শেষ ম্যাচেই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছি। ফিটনেস টেস্ট দিইনি আজকে, তৈরি ছিলাম খেলার জন্য। এখন পর্যন্ত একই অবস্থায় আছে।’

এদিন দারুণ বোলিং করায় অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছেন অধিনায়ক। তারও জবাব দেন মাশরাফি, ‘ইনজুরি জিম্বাবুয়ে সিরিজে যেটা ছিলো সেটা এখনও ক্যারি করছি। তিন উইকেট পেয়েছি বলে যে একেবারে ভালো আছি তা না। সাথে আরও একটা ইনজুরি যোগ হয়েছে হ্যামস্ট্রিংয়ের, যেটা আমার স্বাভাবিকভাবে ছিল না। শারীরিক ভাবে সে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে খুব ভালো আছি তা না’

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বড্ড বেশি ইনজুরিপ্রবণ মাশরাফি। দুই হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে সাতবার। ছোট বড় মিলিয়ে মত ১৩ বার। এছাড়াও আরও নানা ধরণের ইনজুরিতে লম্বা সময়ই থাকতে হয়েছে তাকে। তাই ক্যারিয়ারের ক্রান্তিলগ্নে এসে এখন ছোটখাট ইনজুরিগুলোকে পাত্তা না দিয়ে নির্বিঘ্নে খেলে চলেছেন অধিনায়ক।

Comments

The Daily Star  | English

Jamuna Bridge tailback returns as Eid holidaymakers heading back

The traffic jam, which began around midnight, continued to spread and covered at least 20 kilometres on both sides of the bridge by this morning

1h ago