ওপেন বা তিন সৌম্যের সেরা জায়গা: মাশরাফি
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে সৌম্য সরকার ছয় আর সাতে ব্যাট করলেও অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা মনে করেন এই ব্যাটসম্যানের সেরা জায়গায় টপ অর্ডার। কেবল দলের কম্বিনেশনের কারণেই সৌম্যকে খেলতে হয়েছে ছয় বা সাতে। কিন্তু সেখানে তাকে মনে হয়েছে বেমানান। শেষ ম্যাচে তাই সৌম্যকে তার স্বচ্ছন্দের পজিশনে ফেরার আভাস দিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা।
ছয় আর সাতে এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলেছেন সৌম্য। এশিয়া কাপের ফাইনালে ৩৩ সহ সব মিলিয়ে করেছেন কেবল ৫৮ রান। তিনে নেমে এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচ খেলে করেছেন ৩১১ রান, গড় ৩৮.৮৭। সবচেয়ে বেশি খেলেছেন ওপেনিংয়ে। সেখানে ২৬ ম্যাচ খেলে ৩৫.১৩ গড়ে করেছেন ৭৭৩ রান।
দলে ফিরে তিনে নেমে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেছেন ঝড়ো সেঞ্চুরি। কদিন আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও তিনে নেমে সেঞ্চুরি করেন সৌম্য। টিম কম্বিনেশনের স্বার্থে তাকে ছয়-সাতে নামানো নিয়ে দলের যুক্তি ছিল যেহেতু এশিয়া কাপের ফাইনালে ওই পজিশনে নেমে জুতসই (৩৩ রান) একটা রান পেয়েছেন, শেষটাই তাই তিনি খেলতেই পারেন।
তবে নিজেদের এমন সব সিদ্ধান্ত যে একেবারে নিখুঁত নয় তা মেনে নিয়েই এবার ভিন্নভাবে ভাবছেন মাশরাফি, ‘আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা যে একেবারেই পারফেক্ট সেটা বলার সুযোগ একেবারেই নেই। তাহলেতো আমরা সব ম্যাচই জিততাম। অবশ্যই এটা নিয়ে তর্কে যাওয়ার সুযোগ নেই।’
শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচেই তাই সৌম্যকে তিনে খেলানোর ইঙ্গিত দিলেন মাশরাফি, ‘আমি প্রথম ম্যাচে বলেছিলাম সৌম্যর জন্য বেস্ট পজিশন হচ্ছে ওপেন বা তিন নম্বর। কারণ ও পেস বোলিং খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। সার্কেলটা ব্যবহার করলে ওর জন্য সবচেয়ে ভালো হয়। আসলে এমন একটা পরিস্থিতি হয়েছে, যার কারণে ওকে ওই পজিশনে সেট করতে হয়েছে। তবে এটা এডজাস্টম্যান করা জরুরি, যত তাড়াতাড়ি হয় ততোই ভালো।’
দ্বিতীয় ওয়ানডের সময় চোট পেয়েছিলেন লিটন দাস। তবে সে চোট গুরুতর কিছু না হওয়ায় শেষ ম্যাচেও তামিমের সঙ্গে ওপেন করতে নামবেন তিনি। এরপর তিনে সৌম্যকে খেলানো নিয়েই ভাবছে দল, ‘অবশ্যই এটা নিয়ে আলোচনাতো করতেই হবে। আমি সব সময় চাইবো সৌম্য ওপেন কিংবা ওয়ান ডাউনে ব্যাট করুক। যদি না ডানহাতি কিংবা বাঁহাতি কম্বিনেশন সমস্যা না হয়। এই কম্বিনেশন যে কোন দলের জন্য প্রথম দশ ওভারে সবথেকে সেরা আইডিয়া। তারপরও সৌম্য থাকলে সুবিধা দলের জন্য।’
প্রথম দুই ম্যাচে কেন চার ওপেনার খেলাতে হয়েছে সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মাশরাফি। জিম্বাবুয়ে সিরিজে এত রান করেও না খেলালে দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতির জন্য সেটা কঠিন হত, ‘প্রথম ম্যাচের দিকে তাকান ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন দাঁড় না করালে ইমরুল ওপেনিংয়ে প্রথম পছন্দ থাকতো। ৩৫০ রান করানোর পরও তাকে বসিয়ে রাখা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের কালচারে এটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে সৌম্য ফর্মে ছিল, এশিয়া কাপেও সাতে ব্যাটিং করে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সে রান করছিল। সবকিছু মিলিয়ে চিন্তা করলেও সৌম্যর জন্য সেরা জায়গা হচ্ছে তিন নম্বর বা ওপেন। বাদ বাকি বিষয়গুলো আলোচনা করতে হবে।’
Comments