তামিম-সৌম্যের ব্যাটে উইন্ডিজকে উড়িয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

বোলাররা এনে দিয়েছিলেন সহজ লক্ষ্য। ব্যাটসম্যানরা সেটা যেন তুড়ি মেরেই উড়িয়ে দিলেন। বাংলাদেশের টপ অর্ডার দারুণ ব্যাট করে ১৯৯ রানের লক্ষ্য বানিয়ে ফেলে অতি সহজ। তামিম ইকবালের দায়িত্বশীল ৮১ , সৌম্য সরকারের ঝড়ো ৮০ রানের ইনিংসে পাত্তা পায়নি উইন্ডিজ।
Soumya-Tamim
ফাইল ছবি

বোলাররা এনে দিয়েছিলেন সহজ লক্ষ্য। ব্যাটসম্যানরা সেটা যেন তুড়ি মেরেই উড়িয়ে দিলেন। বাংলাদেশের টপ অর্ডার দারুণ ব্যাট করে ১৯৯ রানের লক্ষ্য বানিয়ে ফেলে অতি সহজ। তামিম ইকবালের দায়িত্বশীল ৮১ , সৌম্য সরকারের ঝড়ো ৮০ রানের ইনিংসে পাত্তা পায়নি উইন্ডিজ। 

শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৬৯ বল হাতে রেখে উইন্ডিজের ১৯৮ রান পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। মাশরাফি মর্তুজার দল জিতেছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। 



প্রথম ওয়ানডেতে ৫ উইকেটে জেতার পর দ্বিতীয়টিতে ৪ উইকেটে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সিলেটে শেষ ম্যাচ তাই ছিল সিরিজ নির্ধারণী। তবে খেলার আগে যতটা উত্তাপের আঁচ ছিল, মাঠে পাওয়া গেল না তার কিছুই। উইন্ডিজকে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব বিভাগেই গুঁড়িয়ে দিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৯৮/৯   (হেমরাজ ৯, হোপ ১০৮*,  ব্র্যাভো ১০, স্যামুয়েলস ১৯, হেটমায়ার ০, পাওয়েল ১, চেজ ৮, অ্যালান ৬, কেমো  ১২, রোচ ৩, বিশু ৬* ; মোস্তাফিজ ০/৩৩,  মিরাজ ৪/২৯,  সাকিব ২/৪০,  মাশরাফি ২/৩৪, সাইফুদ্দিন  ১/৩৮, মাহমুদউল্লাহ ০/১৪) 

বাংলাদশ: ২০২/২ (৩৮.৩)  (তামিম ৮১*, লিটন ২৩, সৌম্য ৮০, মুশফিক ১৬*  ; রোচ ০/১৬, চেজ ০/৩২, পল ২/৩৮, স্যামুয়েলস ০/২৫, বিশু ০/৪৮, অ্যালেন ০/২২, পাওয়েল ০/২১)

ফল: বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী।

সিরিজ: বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে জয়ী। 

ঝড় তুলে ফিরলেন সৌম্য

ফিফটি পেরিয়েছিলেন ৬৩ বলে। এরপরের ১৭ বলে করেছেন আরও ৮০ রান। মেরেছেন বিশাল পাঁচটি ছক্কা। তবে দ্রুত রান তুলে তিন অঙ্কে পৌঁছানোর নেশায় আউট হয়ে গেছেন তিনি। কেমো পলের বলে আড়াআড়ি মারতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন। ৮১ বলে ৮০ রানের ইনিংসে সৌম্য মেরেছেন ৫টি করে ছক্কা ও চার। 

জয় দেখছে বাংলাদেশ

ফিফটি পেরুনোর পরই ঝড় তুলেছেন সৌম্য সরকার। একের পর এক ছক্কা মেরে দ্রুত দলকে নিয়ে যাচ্ছেন জয়ের বন্দরে। পাঁচ ছক্কায় মাত করে রেখেছেন গ্যালারি। তাতে জয়ের একদম কাছে চলে গেছে বাংলাদেশ। 

সৌম্যের ঝলমলে পঞ্চাশ 

ওয়ানডাউনে ফিরে দারুণ আরেক ফিফটি করেছেন সৌম্য সরকার। ৬৩ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করার পরই ফ্যাবিয়ান অ্যালেনকে মেরেছেন বিশাল দুই ছক্কা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজনের রান ছাড়িয়ে গেছে একশো। বাংলাদেশ পৌঁছে গেছের আরও কাছে। 

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ছিটকে গেলেন রোচ, মাথায় চোট পেয়ে নেই হোপ

মাত্র ৩ ওভার বল করেই হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে বেরিয়ে যান কেমার রোচ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের টিম ম্যানেজমেন্ট জানায় এই ম্যাচে আর নামতে পারবেন না তিনি। ফলে একজন বোলার কম নিয়ে খেলতে হচ্ছে ক্যারিবিয়ানদের। 

এর আগে দারুণ সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকা শাই হোপ মাথায় চোট পেয়ে আর নামতে পারেননি।  ইনিংসের শেষ ওভারে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে মাথায় চোট পান তিনি। এই চোটে আর ফিল্ডিংয়ে নামতে পারেননি। তার বদলে উইকেটকিপিং করছেন শেমরন হেটমায়ার। এই ম্যাচে তারও আর নামার মতো অবস্থা নেই। 

তামিমের ফিফটি

দেবেন্দ্র বিশুকে চার মেরে ফিফটিতে পৌঁছে গেছেন তামিম ইকবাল। শুরু থেকে নেমে দারুণ খেলতে থাকা তামিম ছুঁয়েছেন ৬২ বলে। মেরেছেন চোখ জুড়ানো ছয়টি চার। এসময় সৌম্য সরকারের সঙ্গে জুটিতে উঠে গেছে ৭০ রান। 

তামিম-সৌম্যের ব্যাটে এগুচ্ছে বাংলাদেশ 

ভালো শুরু এনে দিয়ে লিটন দাস আউট হওয়ার পরও পথ হারায়নি বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার আরেক জুটিতে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন জেতার লক্ষ্যে। জুটি ছাড়িয়ে গেছে ফিফটি। দলের রান ছাড়িয়েছে শতরান। 

পলকে উইকেট দিলেন লিটন 

১৯৯ রানের লক্ষ্যে বেশ ভালো শুরু পেয়েছিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। উইকেটে দুজনেই খেলছিলেন স্বচ্ছন্দেই। বিশেষ করে লিটন ছিলেন বেশ চনমনে, ফিরেছেনও তিনি আগেই। ৩৩ বলে ৫ চারে ২৩ রান করার পর ধর্য্যচুতি। কেমো পলের বলে পুল করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড়। মিড অনে তার সহজ ক্যাচ নেন রভম্যান পাওয়েল। ৪৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। 

তামিম-লিটনের ভালো শুরু



১৯৯ রানের লক্ষ্যে নেমে ভালো শুরু পেয়েছেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। দুজনের ব্যাটে সিরিজ জেতার মিশনে এগুচ্ছে বাংলাদেশ। 


 

বাংলাদেশের সামনে ১৯৯ রানের লক্ষ্য 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৯৮/৯   (হেমরাজ ৯, হোপ ১০৮*,  ব্র্যাভো ১০, স্যামুয়েলস ১৯, হেটমায়ার ০, পাওয়েল ১, চেজ ৮, অ্যালান ৬, কেমো  ১২, রোচ ৩, বিশু ৬* ; মোস্তাফিজ ০/৩৩,  মিরাজ ৪/২৯,  সাকিব ২/৪০,  মাশরাফি ২/৩৪, সাইফুদ্দিন  ১/৩৮, মাহমুদউল্লাহ ০/১৪) 

আগের ম্যাচের মতো শাই হোপ একাই লড়লেন। ওপেন করতে নেমে আর আউটই হলেন না। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে অপরাজিত রইলেন। তবে তার অনবদ্য ইনিংস সত্ত্বেও বোর্ডে খুব বেশি রান জড়ো করতে পারেনি উইন্ডিজ। পুরো ৫০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে ১৯৮ রান করেছে তারা। হোপ ১০৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। এক প্রান্তে যাওয়া আসার মিছিলে আস্থায় অবিচল এই ব্যাটসম্যান বাংলাদেশের কোন বোলারকেই দেননি কোন সুযোগ। দলের বিপর্যয়ে হাল ধরে ১৩১ বলে ৯ চার আর এক ছক্কায় ১০৮ রান করেন তিনি। 

একা লড়ে সেঞ্চুরি হোপের 

এক পাশে চলছে আসা-যাওয়ার মিছিল। তারমধ্যে একা অবিচল দাঁড়িয়ে রইলেন শাই হোপ। সাকিবের বলে ৯৪ থেকে যখন একশোতে পৌঁছালেন দলের রান তখন ১৮৯। আগের ম্যাচে তার ১৪৬ রানের ইনিংস হারতে হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার আরও একবার বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন কেবল তিনিই। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে হোপের এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি। যার দুটিই এল পর পর দুই ম্যাচে। 

Mashrafee Mortaza

রোচকেও বিদায় করলেন মাশরাফি

পর পর দুই ওভারে উইকেট পেয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা। কেমো পলকে উপড়ানোর পর কেমার রোচকে এলবডব্লিও করে বিদায় করেন তিনি। তার জোড়া আঘাতে ১৭১ রানে নবম উইকেট হারায় উইন্ডিজ। 

মাশরাফির প্রথম উইকেট

শুরুতে থেকে বেশ জুতসই বল করেও উইকেট পাননি মাশরাফি মর্তুজা। তবে দুই স্পিনার উইকেট তুলতে থাকায় চিন্তাও ছিল না তেমন। শেষ স্পেলে এসে অবশেষে উইকেটের দেখা পেলেন মাশরাফি। পেস অলরাউন্ডার কেমো পল মাশরাফিকে মারতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন। তার স্টাম ডিগবাজি খাইয়ে ১৭১ রানে উইন্ডিজের অষ্টম উইকেট ফেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। 

Shakib-Miraz

সাকিবের দ্বিতীয় শিকার অ্যালান

বাংলাদেশের দুই স্পিনারের তোপে ক্রমাগত উইকেট হারাচ্ছে উইন্ডিজ। এক প্রান্তে শাই হোপ টিকে থাকলেও আরেক দিকে চলছে আসা-যাওয়ার মিছিল। সাকিব আল হাসানের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়েছিলেন অ্যালান। স্কয়ার লেগে লাফিয়ে তার ক্যাচ হাতে জমিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। দেড়শো পেরুনোর আগেই তাই ৭ উইকেট খুইয়েছে উইন্ডিজ। 

চেজকে থামালেন সাকিব

দ্রুত দুই উইকেট খোয়ানোর পর শাই হোপের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়েছিলেন রোস্টন চেজ। তবে তাদের জুটিতে ৩৪ রানের বেশি করতে দেয়নি বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের বলে ইনসাইড আউট শটে উড়াতে গিয়েছিলেন। লঙ অফ থেকে কিছুটা বায়ে সরে বাউন্ডারি লাইনে সেই ক্যাচ হাতে জমান সৌম্য সরকার। ১৩৩ রানেই তাই ৬ষ্ঠ উইকেট হারায় উইন্ডিজ। 

মিরাজের চতুর্থ শিকার উইন্ডিজ অধিনায়ক পাওয়েল

দিনের শুরু থেকেই দারুণ বোলিং করছিলেন মিরাজ। প্রয়োজনীয় ব্রেক থ্রু এনে তো দিচ্ছিলেনই। তার ঘূর্ণিতেই অতিথিদের চেপে ধরেছে টাইগাররা। নিজের শেষ বলটিতেও পেলেন উইকেট। তাই প্রতিপক্ষ অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলের। ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহীমের তালুবন্দি হন তিনি। তবে শুরুতে ঠিকঠাকভাবে ধরতে পারেননি মুশফিক। হাত ফসকে দুই পায়ের ফাঁকে আটকে গেলে তা ধরেছেন এ উইকেটরক্ষক। ৯ বলে ১ রান করা পাওয়েল আউট হয়েছেন দলীয় ৯৯ রানে। 

হেটমায়ারকে আবার ফেরালেন মিরাজ

গত ম্যাচেই যা বিপত্তি হয়েছিল। চলতি সিরিজের বাকি সববারই যে হেটমায়ারকে ফিরিয়েছিলেন মিরাজ। আর তা ভেবেই হয়তো এ ব্যাটসম্যান মাঠে নামার পর বোলিং আনলেন এ অফিকে। আর কাজটা আবারো করলেন তিনি। তার বলে রক্ষণাত্মক ঢঙে খেলতে গিয়েও পারেন হেটমায়ার। বল আঘাত হানে প্যাডে। টাইগারদের জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। ৯৭ রানে চতুর্থ উইকেট হারালো উইন্ডিজ। ৬ বল খেলে কোণ রান করতে পারেননি হেটমায়ার।  

স্যামুয়েলসকে ফিরিয়ে সাইফুদ্দিনের ব্রেক থ্রো

তৃতীয় উইকেটে জুটিতে ৩৯ রান তোলার পর মারলন স্যামুয়েলসকে থামিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। সিরিজে প্রথমবার সুযোগ পেয়ে বল করতে এসে প্রথম ওভারে ১০ রান দিয়েছিলেন। পরের ওভারেই অবশ্য আসে সাফল্য। তার অফ স্টাম্পের বাইরের কিছুটা নিচু হওয়া বল টেনে নিয়ে বোল্ড হন স্যামুয়েলস। ফলে একশোতে যাওয়ার আগ তৃতীয় উইকেট হারায় উইন্ডিজ। 

উইন্ডিজকে এগিয়ে নিচ্ছেন হোপ 

আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে হারানো শাই হোপ এই ম্যাচেও ধরে রেখেছেন ছন্দ। আরেক প্রান্তে উইকেট পড়লেও আস্থায় অবিচল তিনি। ফিফটি তোলে এগিয়ে নিচ্ছেন দলকে। প্রথম ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে উইন্ডিজ তোলে ৮৩ রান। এরমধ্যে ৫১ রানই হোপের। শুরুর ২০ ওভারে অবশ্যই ফিল্ডিংয়ে বেশ ক্যাজুয়াল দেখা গেছে বাংলাদেশকে। মিস ফিল্ডিংয়ের সুবাধে রান বাড়ানোর একাধিক সুযোগ পেয়েছে উইন্ডিজ। 

ব্র্যাভোকেও আউট করলেন মিরাজ 

১৫ রানে ১ উইকেট হারানোর পর দলকে টেনে নিচ্ছিলেন শাই হোপ ও ড্র্যারেন ব্রাভো। জুটিতে ৪২ রান তোলার পর আবার আঘাত হেনেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার লেগ স্টাম্পের উপর বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্টাম্প খুইয়েছেন ব্রাভো। ১৪তম ওভারে ৫৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে ক্যারিবিয়ানরা। 

হেমরাজকে ফেরালেন মিরাজ

প্রথম তিন ওভার ঠিকঠাক সামলে নিয়েছিল উইন্ডিজ ওপেনাররা। তবে চতুর্থ ওভারে গিয়েই আঘাত হানলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে বল দিয়ে ঠিক আগের বলেই চার খেয়েছিলেন তিনি। লেন্থ অল্প টেনে পরের বলও দিলেন অফ স্টাম্পের বাইরে। হেমরাজ পয়েন্ট গলে আবার চার মারতে গিয়ে ধরা পড়েছেন মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে। ১৫ রানেই তাই প্রথম উইকেট হারিয়েছেন ক্যারিবিয়ানরা। 

টস জিতে বাংলাদেশ ফিল্ডিংয়ে

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস জিতেছেন মাশরাফি মর্তুজা।  সিলেটের মাঠের শিশির মাথায় রেখে অনুমিত ভাবেই আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। প্রথম দুই ওয়ানডের একাদশ থেকে দলে এসেছে দুই বদল।

একাদশে দুই বদল

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েসের জায়গায় দলে এসেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। ইমরুল না থাকায় আগের দুই ম্যাচে ছয় ও সাতে ব্যাট করা সৌম্য সরকার উঠে আসবেন তিন নম্বরে। পেসার রুবেল হোসেনের জায়গায় শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের গতিময় পেসার ওশান টমাসের জায়গায় খেলাচ্ছে ফ্যাবিয়ান অ্যালানকে।

বাংলাদেশ একাদশ:  তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ মিঠুন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মাশরাফি মর্তুজা, মোস্তাফিজুর রহমান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: শাই হোপ, চন্দরপল হেমরাজ, ড্যারেন ব্র্যাভো, মারলন স্যামুয়েলস, শেমরন হেটমায়ার, রোস্টন চেজ, রভম্যান পাওয়েল, কেমো পল, দেবেন্দ্র বিশু, কেমার রোচ, ফ্যাবিয়ান অ্যালান।

হাবিবুলকে ছাড়িয়ে মাশরাফি

হাবিবুল বাশারকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন মাশরাফি মর্তুজা। হাবিবুল ৬৯টি ওয়ানডেতে বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন। এই ম্যাচে অধিনায়ক মাশরাফি নামছেন ৭০তম ম্যাচে। হাবিবুলের অধিনায়কত্বে ৪৯ ম্যাচের ২৯টিতে জিতেছিল বাংলাদেশ, হেরেছিল ৪০টি ম্যাচ। মাশরাফির নেতৃত্বে ৬৯ ম্যাচের ৩৯টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। হার ২৮ ম্যাচে।

Sylhet International Cricket Stadium
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সিলেটের প্রথম ওয়ানডে

২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের কয়েকটি ম্যাচ হয়েছিল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আন্তর্জাতিক অভিষেক তখনই। তবে বাংলাদেশ এখানে প্রথম খেলেছে এই বছরই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ এখানে খেলেছিল বাংলাদেশ। নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে দেশের অষ্টম টেস্ট ভেন্যু হিসেবে যাত্রা শুরু করে সিলেট।

এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ হবে সিলেটেই। শুক্রবার দুপুর ১২টায় দিবারাত্রীর ম্যাচে নামবে দুদল। এই ম্যাচ দিয়েই তাই সিলেটে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রথম কোন ওয়ানডে। 

 

Comments

The Daily Star  | English

An unholy race between buses tears two sisters apart

One killed, one injured after being run over by bus in Dhaka's Badda

1h ago