বরেণ্য চিত্রনির্মাতা আমজাদ হোসেন আর নেই

amjad hossain

চলে গেলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেন। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা এস এ হক অলীক জানান, আজ (১৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় ৩টার দিকে চিত্রনির্মাতা মারা গেছেন।

মৃত্যুর খবর জানিয়ে অলীক আরও বলেন, “আমজাদ হোসেনের মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।”

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আমজাদ হোসেন প্রখ্যাত নিউরো সার্জন ডা. টিরা ট্যাংভিরিয়াপাইবুনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

আমজাদ হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়। তার সঙ্গে ছিলেন দুই ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল ও সোহেল আরমান।

আমজাদ হোসেন ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি সাহিত্যচর্চা শুরু করে। পঞ্চাশের দশকে ঢাকায় এসে সাহিত্য ও নাট্যচর্চার সঙ্গে জড়িত হন। তারপর আসেন চলচ্চিত্রে।

উল্লেখ্য, বর্ষীয়ান এ নির্মাতা গত ১৮ নভেম্বর সকালে স্ট্রোক করেন। এরপরই তাকে তেজগাঁওয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর, নির্মাতার শারীরিক অসুস্থতার খবর শুনে হাসপাতালে ভর্তির তিন দিনের মাথায় তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার উন্নত চিকিৎসার খরচ বাবদ ৪০ লাখ টাকা পরিবারের হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

আমজাদ হোসেন ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’-এ অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন। পরে তিনি চিত্রনাট্য রচনা ও নির্মাণে মনোনিবেশ করেন।

১৯৬৭ সালে আমজাদ হোসেন ‘আগুন নিয়ে খেলা’ নামে প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। ‘নয়নমণি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘ভাত দে’র মতো চলচ্চিত্র নির্মাণ করে বেশ প্রশংসিত হন তিনি।

‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ও ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এছাড়া, শিল্পকলায় অবদানের জন্য সরকার তাকে একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করে।

Comments

The Daily Star  | English
Election in Bangladesh

Why are we trying to make the election uncertain?

Those who are working to prevent the election should question themselves as to how the people will be empowered without one.

3h ago