‘গত ১০ বছরে নাগরিক সমাজ নির্জীব অবস্থায় চলে গেছে’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, সমসাময়িক রাজনীতি, ঘটনা- দুর্ঘটনা ও তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নিয়ে শুরু হয়েছে দ্য ডেইলি স্টারের বিশেষ আয়োজন নির্বাচন সংলাপ ২০১৮। আজ (১৪ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠানের তৃতীয় দিনে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ। উপস্থাপনায় ছিলেন সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা।
নির্বাচনের আর কয়েকদিন বাকি রয়েছে। এখন নাগরিক সমাজের আ পেশাজীবীদের দায়িত্ব বা ভূমিকাটা কী?- এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, “নাগরিক সমাজ গত ১০ বছরে নির্জীব একটা অবস্থায় চলে গেছে। নিজেকেই নিজেরা দুর্বল করে ফেলেছে। বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে বেশিরভাগই বাঙালি জাতীয়তাবাদ বা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন।”
“কিন্তু, নাগরিক সমাজের কর্তব্য হলো নিরপেক্ষভাবে যা সত্য, যা কল্যাণকর, তার পক্ষে থাকা। এবং যা জাতির জন্যে অকল্যাণকর- সেটা কোন দল বা কোন নেতা করলো এর গুরুত্ব না দিয়ে তার বিরোধিতা করা। অথচ, যারা আওয়ামীপন্থি বুদ্ধিজীবী তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলে না। এমনটি, বিএনপি’র ক্ষেত্রেও,” যোগ করেন তিনি।
তার মতে, সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। “একজন মানুষ যখন দলীয় আনুগত্যের কাছে আত্মসমর্পণ করেন, বিভিন্ন প্রাপ্তির জন্যে লালায়িত থাকেন- তখন তারা নাগরিক সমাজের দায়িত্ব আর পালন করতে পারেন না।”
আসন্ন নির্বাচনে জনগণের ভোটের প্রয়োগ নিয়ে নানান শঙ্কা রয়েছে সে প্রেক্ষিতে নাগরিক সমাজের করণীয় কী?- এ প্রসঙ্গে তার মন্তব্য, গত ১০ বছরে নাগরিক সমাজকে বিভিন্নভাবে, লোভ বা ভয় দেখিয়ে দমন করা হয়েছে। ঠিক যেনো বিরোধীদলের মতো।
Comments